বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি চালুর লক্ষ্যে তৃণমূল (tmc) শিবির। সেইমত চলছে প্রস্তুতিও। তবে এরই মধ্যে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) সঙ্গে জরুরি বৈঠক সারলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন করে দলগঠনের ক্ষেত্রে দলের সাংগঠনিক স্তরে রদবদল করতে এই বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের নির্বাচনী পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর এবং তাঁর টিম। বাংলায় আবারও তৃণমূল ক্ষমতায় এলে, তাঁর ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি প্রমাণিত হয়। যদিও নির্বাচনের পরবর্তীতে নির্বাচনী পরামর্শদাতার কাজ ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল পিকের, তবে এখনও তৃণমূলের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন প্রশান্ত কিশোর। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকও সারলেন তিনি।
নির্বাচনে জয়লাভ করার পর থেকেই ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি চালুর লক্ষ্যে এগোচ্ছে তৃণমূল শিবির। আর সেইকারণেই দল এবং প্রশাসনের কাজকে সম্পূর্ণ আলাদা করার কাজ শুরু করে দিয়েছে সবুজ শিবির। যাতে প্রশাসনিক বা সরকারের কাজে কোনরকম অসুবিধা না করেই দলের সংগঠন বৃদ্ধির কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়।
এই নীতির মূল লক্ষ্য এক ব্যক্তি একটি মাত্র পদেই থাকতে পারবেন। জেলাস্তর থেকে একেবারে ব্লকস্তর পর্যন্ত একই নিয়ম প্রযোজ্য থাকবে। একজন ব্যক্তি শুধুমাত্র একটি পদেই থাকতে পারবেন। জেলা সভাপতি বা দলের অন্য কোনও সাংগঠনিক পদে থাকতে পারবেন না দলের কোন মন্ত্রী। এমনকি প্রশাসনিক পদে থাকতে পারবেন না দলের কোনও পদাধিকারিক। এই মুহূর্তে উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া গ্রামীণ, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পূর্ব বর্ধমানের জেলা সভাপতিরা যারা রাজ্যের মন্ত্রীপদে রয়েছেন, তাদেরকেও ছেড়ে দিতে হবে একটি পদ।
দলের টার্গেট দ্রুতই দলের এই পরিবর্তনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে উপনির্বাচন এবং পুরসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে লেগে পড়তে হবে। সূত্রের খবর, দলের এই রদবদলের বিষয়ে আলোচনা করতেই শুক্রবার দুপুরে প্রায় ৩ ঘণ্টা পিকে- মুখ্যমন্ত্রীর জরুরী বৈঠক সম্পন্ন হয়।