বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার জমি দিলেই মিলবে পুলিশের চাকরি। এমনটাই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, আপাতত ৫১০০ টি পোস্ট অনুমোদন করা হয়েছে। দেউচা পাচামি কয়লা খনি প্রকল্পে জমিদাতাদের পরিবার পিছুই মিলবে এই চাকরি এমনটাও জানান তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘বীরভূমের মহম্মদবাজার থানা এলাকার দেউচা পাচামি দেওয়ানগঞ্জ হরিণসিঙা কয়লা খনি এলাকার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মন্ত্রীসভায়। স্থানীয় মানুষদের থেকে আমরা জমি চাইছি। জমি পাওয়া গেলে জমি দাতা পরিবার পিছু একজনকে কনস্টেবল অথবা জুনিয়র কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়া হবে। যোগ্যতার ভিত্তিতেই হবে এই পদ নির্বাচন। ৫১০০ টি পোস্ট অনুমোদন পেল আজ। জমি দিতে রাজি হয়েছেন ১৩৯ জন।’
যদিও প্রাথমিক ভাবে সরকারি জমিতেই কাজ শুরু হব্র বলেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ‘যাঁরা জমি দিতে চাইবেন শুধু তাঁদের জমিই নেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে কাজ শুরু হবে আমাদের জমিতেই। এখনও অবধি রাজ্যের হাতে ১ হাজার একর জমি রয়েছে। তবে স্থানীয় ছেলেমেয়েদের সাপোর্ট আমাদের দরকার। যাঁরা জমি দেবেন তাঁদের পাট্টাও দেওয়া হবে। জমির বদলে জমি, পাট্টা, ক্ষতিপূরণ সবকিছুই দেওয়া হবে’।
যদিও এই প্রকল্পের ব্যাপারে এখনও দোটানায় স্থানীয় মানুষ। আদিবাসী অধ্যুষিত এই এলাকার একটা বড় অংশের মানুষই হঠাৎ বেঁকে বসেন এই প্রকল্পের ব্যাপারে। প্রাথমিক ভাবে সরকারি জমিতেই কাজ শুরু হবে এবং কেউ জমি দিলে বদলে পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণ, চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিলেও এই আশ্বাসকে এখনও সাদা চোখে দেখতে পারছেন না তাঁরা। এছাড়াও কয়লাখনি এলাকার দূষন এবং স্বাস্থ্যহানীর আশঙ্কাও উড়িয়ে দিতে পারছেন না তাঁরা।
দেউচা পাচামির কয়লা খনি থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করা গেলে তা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা খনি হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৯ সালে দীঘা বানিজ্য সম্মেলনে তিনি জানান যে এই কয়লা খনির জন্য আবেদন মঞ্জুর করেছে কেন্দ্র। এই খনিতে যত কয়লা রয়েছে তা উত্তোলন করতে পারলে আগামী ১০০ বছর আর রাজ্যকে পিছন ফিরে তাকাতে হবে না, এমন দাবিও করেছিলেন তিনি।