বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) স্বপ্নের প্রকল্প দিঘার জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple)। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলেই সেজে উঠছে এই মন্দির। মন্দির নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। এবার পালা উদ্বোধনের। আজ কলকাতার নিউটাউনে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে দিঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়ে দিলেন আগামী ২৯ এপ্রিল এই দিঘার এই মন্দিরের উদ্বোধন করা হবে।
দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের দিনক্ষণ জানালেন মমতা (Mamata Banerjee)
মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) এই ঘোষণায় বেজায় খুশির রাজ্যবাসী। মোট ২২ একর জমির উপর তৈরি করা হয়েছে দিঘার জগন্নাথ মন্দির। এই প্রকল্পের জন্য রাজ্যের খরচ হয়েছে মোট ২৫০ কোটি টাকা। আগামী আরও কয়েক বছর এই মন্দিরের সমস্ত খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার। সৈকত শহর দিঘার এই জগন্নাথ মন্দিরকে ঢেলে সাজাতে কোন খামতি রাখেননি মমতা।
আলাদাভাবে ভোগ ঘর, স্টোর রুম,গেস্ট রুম,বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা থাকবে মন্দিরে। এছাড়া পুজো দেওয়ার সামগ্রী বিক্রি করার জন্যও থাকবে আলাদা জায়গা। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা যাতে জিনিসপত্র বিক্রি করতে পারেন সেই ব্যবস্থাও করা হবে এই মন্দিরে। এছাড়াও দোকান দেবেন সনাতন ধর্মের লোকেরা।
পুরীর গজা বিখ্যাত গোটা বিশ্বে। এবার দিঘাতেও পুরীর গজার মতোই থাকবে ক্ষীরের গজা,প্যারা গুজিয়া। এগুলোর জন্য আলাদা-আলাদা ঘর তৈরি করা হবে। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই মার্বেলের মূর্তি তৈরির কাজ শেষ। এবার নিম কাঠের মূর্তি বানানোর কাজ চলছে। এই মূর্তিকে সামনে রেখেই করা হবে পুজো। এছাড়াও তৈরি হবে দেবী লক্ষ্মীর মন্দির। এই জগন্নাথ মন্দিরে বানানো হবে চৈতন্যদ্বার। সেখানে থাকবে শ্রী চৈতন্যদেবের মূর্তি। এইটাই হবে মন্দিরের মূলদ্বার। নাম হবে, ‘চৈতন্যদ্বার জগন্নাথ ধাম।’।
আরও পড়ুন: রাজ্যের ছেলেমেয়েদের জন্য এই সিদ্ধান্ত নিলেন সৌরভ! বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে বড় মন্তব্য মহারাজের
পুরীর মন্দিরের মতোই এখানেও ধ্বজা তোলার ব্যবস্থা থাকবে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে পুরীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া হয়েছে। পুরীর মন্দিরের ধ্বজা তুলতে পারেন এমন কয়েকজনকে দীঘায় পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) । জানা যাচ্ছে দিঘায় জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়িতে একটি ঘাট তৈরি করে দেবে হিডকো। জেলা পরিষদের বাড়ি অধিগ্রহণ করে তৈরি হবে পুলিশ পোস্ট। এছাড়াও স্বাস্থ্যকেন্দ্র, অগ্নি নির্বাপণ কেন্দ্র তৈরি করারও পরিকল্পনা রয়েছে।
গত বছরের শেষে জগন্নাথ মন্দির পরি দর্শনের পর ব্লুপ্রিন্ট স্পষ্ট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে ইসকনকে ৫ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। তা দিয়ে রথযাত্রার জন্য সোনার ঝাড়ু তৈরি করা হবে। মন্দির পরিচালনার জন্য একটি ট্রাস্টি বোর্ড তৈরি করেছেন মমতা (Mamata Banerjee) । মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে তৈরি ওই ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হবেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক,জেলার পুলিশ সুপার, ইসকন এবং সনাতন ধর্মের প্রতিনিধি আর দিঘায় জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ির মন্দিরে যিনি পুজো করতেন তিনি। আজ রাজ্য এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে গোটা বিশ্বের মানুষকে দিঘার মন্দিরে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।