বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বেশিরভাগ সরকারি কর্মচারীদেরই শনি, রবি দু’দিনই ছুটি থাকে। তবে কিছু কিছু অফিস রয়েছে যেগুলি শনিবার খোলা থাকে, সেখানে কাজকর্ম হয়। তবে ২৭ জুলাই আচমকা এই সকল অফিসে হাফ ছুটি ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
আচমকা কেন হাফ বেলা ছুটি ঘোষণা করলেন মমতা (Mamata Banerjee)?
এদিন সকাল ১০টা নাগাদ সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে হাফ ছুটির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লেখেন, ‘আজ রাজ্য সরকারি যে যে অফিস, কর্পোরেশন ইত্যাদি খোলা রয়েছে সেখানে অর্ধদিবস ছুটি থাকবে’। অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, আজ যে সকল অফিস (Government of West Bengal) খোলা রয়েছে সেগুলি হাফ বেলা কাজের পর ছুটি হয়ে যাবে।
আরও পড়ুনঃ অপেক্ষার অবসান! রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বিরাট ‘সুখবর’, নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি অর্থ দফতরের!
আসলে আজ রাজ্যের প্রাক্তন কারা ও সমাজ কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিশ্বনাথ চৌধুরীর (Biswanath Chowdhury) মৃত্যু হয়েছে। বাম জমানায় বহুদিন ওই দুই দপ্তরের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে ছিল। বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক বিগত বেশ কিছুটা সময় ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। আজ সকাল ৬:৪০ মিনিট নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বিশ্বনাথ চৌধুরীর প্রয়াণে আমি দু:খিত।
উনি আমার বিরোধী রাজনীতি করলেও, আমাদের সম্পর্ক খুব ভালো ছিল। ওঁনার অসুস্থতার খবর পেয়ে আমরা ওঁনাকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু কোনো প্রচেষ্টাই কাজে এলো না।
এই দু:খের দিনে আমি…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) July 27, 2024
১৯৭৭ সালে আরএসপির টিকিটে বালুরঘাট কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন বিশ্বনাথবাবু। এরপর ওই একই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে টানা ৬ বার জয়ী হন তিনি। ২০১১ সালে তৃণমূলের শঙ্কর চক্রবর্তীর কাছে পরাজিত হলেও ২০১৬ সালে ফের ওই আসন থেকে জিতে বিধায়ক হন তিনি। সব মিলিয়ে, ৭ বারের বিধায়ক এবং ২৪ বছরের মন্ত্রী ছিলেন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে কর্কট রোগের বিরুদ্ধে লড়ছিলেন বিশ্বনাথবাবু। প্রথম কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু সেই চিকিৎসার খরচ এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে তাঁর পরিবারের পক্ষে সামলানো মুশকিল হয়ে পড়েন। সেই সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের এই প্রাক্তন মন্ত্রীকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেন তিনি। মমতা (Mamata Banerjee) পাশে দাঁড়ালেও অবশ্য শেষরক্ষা হল না। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ৮৩ বছর বয়সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন এই রাজনীতিক।