বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর জি কর (RG Kar) ইস্যুতে উত্তপ্ত গোটা রাজ্য। হাসপাতালে কর্মরত তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কর্মবিরতিতে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctors)। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ৫ দফা দাবি নিয়ে স্বাস্থ্যভবনের সামনে টানা ৪ দিন আন্দোলনরত তারা। এই আবহে রাজ্যের দাবি, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির ফলে এখনও পর্যন্ত বিনা চিকিৎসায় ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভুক্তভুগি আরও অনেক।
বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘর থেকে বিনা চিকিৎসায় মৃতদের পরিসংখ্যান তুলে ধরেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর
শুক্রবার মমতা ওই ২৯ জনের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করলেন। প্রসঙ্গত, আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গত এক মাস ধরে রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং সরকারি হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারেরা কর্মবিরতিতে শামিল হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ছিল জুনিয়র ডাক্তারদের। তবে বহু টালবাহানার পর ভেস্তে যায় সেই বৈঠক। এখন সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্নায় বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বৃহস্পতিবার জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে বৈঠক করতে বিকেল ৫টা থেকে নবান্ন সভাঘরে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে নির্ধারিত সময়ের ২৩ মিনিট পর নবান্নে (Nabanna) পৌঁছলেও সভাঘরে ঢোকেন নি জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি দল। শর্ত নিয়ে ‘দর’ কষাকষির পর প্রশাসন লাইভ স্ট্রিমিংয়ে (Live Streaming) আপত্তি জানালে শেষমেশ ভেস্তে যায় বৈঠক।
ওদিকে গতকাল রাতে নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে অনেকে বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত সেই সংখ্যা ২৯। যদিও রাজ্যের দাবি মানতে নারাজ ডাক্তাররা। তাদের পাল্টা দাবি, কোনও হাসপাতালেই চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হয়নি। সিনিয়র চিকিৎসকেরা সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতে বাড়তি পরিশ্রম করছেন। কোথাও রোগীকে ফিরে দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন: ‘সাহেব অর্ডার দিয়েছে উড়িয়ে দিতে হবে’, কোন সাহেব? জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলার ছক?
তাদের আরও দাবি, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার বেহাল দশা। যার জেরে নিত্যদিন উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবার অভাবে বহু মানুষ মারা যান। সঠিক চিকিৎসা পাননা রোগীরা। নিজেদের সেই ব্যর্থতা ঢাকতেই এই মৃত্যুর দায় রাজ্য সরকার ডাক্তারদের কর্মবিরতির উপর চাপাতে চাইছেন।