বাংলাহান্ট ডেস্ক : বেথুন কলেজিয়েট স্কুল (Bethune School) পা দিল ১৭৫ বছরে। এটি ছিল বাংলায় মহিলাদের জন্য প্রথম স্কুল। ভারতে মহিলাদের শিক্ষায় এই স্কুল পথিকৃত। এই স্কুলের ১৭৫ তম জন্মবার্ষিকীর সূচনার অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ঘেঁটে দেখলেন এই স্কুলের ইতিহাস। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বেথুন স্কুলকে ২ লাখ টাকা ও শিক্ষা দফতরের তরফে আরও ১০ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হল এদিন।
মুখ্যমন্ত্রী আজ বলেন, নারী শিক্ষা, নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে আজ সবাই কথা বলে। কিন্তু আজ থেকে ১৭৫ বছর আগে তা নিয়ে আলোচনা ও করে দেখানো অভাবনীয়। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে বেথুন কলেজিয়েট স্কুলকে প্রদান করা হয় বঙ্গরত্ন সম্মান। এছাড়াও এদিন মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে নির্দেশ দেন শিক্ষা দপ্তরের তরফে এই স্কুলের জন্য বিশেষ কর্মসূচি নেওয়ার।
আজ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মহিলাদের শিক্ষার ব্যাপার তো তখন কেউ ভাবতেই পারত না। মেয়েদের শিক্ষা তখন ছিল কুসংস্কার। যে চারা গাছ আজ থেকে ১৭৫ বছর আগে রোপণ করা হয়েছিল তা আজ বট বৃক্ষে পরিণত হয়েছে। সত্যি অভাবনীয় বিষয়।” স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার হাতে তিনি তুলে দেন এই সম্মান। উল্লেখ্য, বেথুন স্কুল-কে দিয়েই শুরু হল ‘বঙ্গরত্ন’ সম্মান প্রদান।
বাংলার সোনালী অতীত বর্ণনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “বেথুন সাহেব, মদন মোহন তর্কালঙ্কার, রামগোপাল ঘোষ, দক্ষিণারঞ্জন মিত্র ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর নেতৃত্বে এই স্কুল শুরু হয়েছিল শুনে আমি গর্বিত। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বর্ণপরিচয় পড়ে আমার অক্ষর জ্ঞান হয়েছে এটা ভেবে আমি গর্বিত। তিনি প্রবর্তন করেন বিধবা বিবাহ প্রথা। সতীদাহ প্রথা বন্ধ করেন রাজা রামমোহন রায়। এসব কিছুর শুরু বাংলা থেকেই। তারপর গোটা ভারতে ছড়িয়ে পড়ে।”