বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee) বুধবার বিজেপিকে (BJP) ‘ফেকুদের পার্টি” বলে কটাক্ষ করেন। এমনকি উনি বিজেপির উপর ধর্মের নামে দেশ ভাগ করার অভিযোগ তোলেন। উনি বলেন, বিজেপি বন্দুক আর গুলি দিয়ে মানুষকে ধমকাচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের (Anurag Thakur) নাম না নিয়েই মমতা ব্যানার্জী বলেন, সাংবিধানিক পদে থেকেও এমন অসাংবিধানিক কথা কেমন ভাবে বলতে পারে মানুষ? আপনাদের জানিয়ে দিই, অনুরাগ ঠাকুর নিজের সমর্থকদের দিয়ে বিতর্কিত স্লোগান দেওয়া করিয়েছিলেন।
তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জী উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) ‘গুলির বদলে গুলি” এর বয়ানেরও নিন্দা করেন। উনি বলেন, বিজেপি ফেকুদের দল। তাঁরা শুধু ফেক নিউজেই ভরসা করে। তাঁরা বন্দুক আর গুলি দিয়ে মানুষকে ভয় দেখায়। ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে ভাগ করার চেষ্টা করে। উনি বলেন, ‘আমার জন্ম ভারতে হয়েছে, বন্দুক আর গুলি দিয়ে শাসন করা বিজেপির দেশে হয়নি।” তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো সিএএ, এনপিআর আর এনআরসি জোর করে লাগু করার জন্য কেন্দ্র সরকারের সমালোচনা করেন।
মমতা ব্যানার্জী মহাভারত আর ভারতের ইতিহাসের কথা উল্লেখ করে মঙ্গলবার বিজেপির উপর কড়া হামলা করেছিলেন। মমতা ব্যানার্জী মঙ্গলবার বিজেপিকে দুঃশাসন এর দল আর মোহম্মদ তুঘলকের বংশধর বলে কটাক্ষ করেছিলেন। মহাভারতে দুর্যোধনের ভাই ছিলেন দুঃশাসন। আর মোহম্মদ বিন তুঘলক ১৩২৫ থেকে ১৩৫১ পর্যন্ত দিল্লীর সুলতান ছিলেন। ওনাকে পাগল রাজা বলেও জানা যায়।
মমতা ব্যানার্জী নদীয়া জেলায় একটি র্যালিতে ভাষণ দেওয়ার সময় এনপিআর ইস্যু নিয়ে বলেন, ‘আপনার কাছে কেউ কাগজ চাইলে দেখাবেন না। যদি সে আপনার আর আপনার পরিবারের সম্বন্ধে জানতে চায়, তাঁদের কিছু দেখাবেন না। আমি যতদিন না বলছি, ততদিন আপনি কিছু দেখাবেন না।”