বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের বিধানসভায় শুভেন্দু বনাম মমতা! নন্দীগ্রামে হার নিয়ে শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রী বলেন ‘, ) ঘটনা ভুলে গেছেন? ২ ঘণ্টা লাইট বন্ধ করে জিতে নিয়েছেন, আমায় হারিয়ে দিয়েছেন,’। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে শুভেন্দুর নেতৃত্বে ওয়াকআউট কর বিজেপির (BJP)।
পাল্টা সংসদ ভবনের বাইরে সাংবিধানিক সম্মেলন করে শুভেন্দুর হুংকার ছাড়েন, ‘হ্যাঁ জিতেছি। তাই আপনি কম্পার্টমেন্টাল চিফ মিনিস্টার। আপনি মামলা করেছিলেন, বিচারপতি বদলালেন। দু বছর পেরিয়ে গেল। আপনার মামালর রিটে সবই কানে শোনা। চোখে দেখা কিছু নেই। একই বিল্ডিংয়ে ৩টি আসনের গণনা হচ্ছিল। তার মধ্যে একটি তৃণমূলও জিতেছিল।’
এদিন বিধানসভায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব এনেছিল বিজেপি। তা গৃহীত হয়। সেই নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম আসনটি ছিল লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দু। সেখানে বিজেপির সেনাপতি ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। অপরদিকে তৃণমূলের সর্বাধিনায়ক স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই রণক্ষেত্রের দিকেই নজর ছিল গোটা রাজ্যের। ফল বেরলে দেখা যায় নন্দীগ্রামে সামান্য কিছু ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
এরপর থেকেই তৃণমূলের অভিযোগ ছিল লোডশেডিং করে ভোট গণনায় কারচুপি করে জিতেছেন শুভেন্দু। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন সবসময়ই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ করে এসেছেন। এবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সেই কথা বলেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোটের হিংসা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘মূলত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে।’ কয়েকটি জায়গায় অশান্তি হয়েছে, মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর।
এদিন সভার শুরুতেই শাসক দলের বিধায়কদের সঙ্গে বিরোধী দলের বিধায়কদের বচসা হয়। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটে লুঠ হয়েছে, এমন অভিযোগ করেন বিরোধী শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, ‘২৫টি ব্লকে বিরোধীদের মনোনয়নই জমা দিতে দেওয়া হয়নি। বহু জায়গায় প্রার্থীদের মেরে তাড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে সন্ত্রাস চালিয়েছে তৃণমূল। আগামী লোকসভা নির্বাচনে এর ফল পাবে তৃণমূল।’ তাঁকে বিরোধী দলনেতা হিসেবে মেনে নিতে পারেননি মমতা, অভিযোগ শুভেন্দুর।
পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার অভিযোগে একাধিক বিজেপি বিধায়ক নিশানা করেছেন সরকারকে। বিজেপি বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে যা হয়েছে তা অতীতে কোথাও হয়েছে? পুলিসের নেতৃত্বে বিরোধীদের উপর আক্রমণ হয়েছে। কোচবিহারে ভোট শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একজন খুন হয়ে গেল। যাঁরা মারা গেলেন তাদের পরিবারকে ভরণপোষণ কে দেবে?’