বাংলা হান্ট ডেস্ক : মানহানি মামলায় সুরাট আদালতের রায়ে দু’বছর জেলের সাজা ঘোষণ নিয়ে তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। আজ খারিজ হয় রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সাংসদ পদ। সেই ঘটনায় প্রবল চাঞ্চল্য শুরু হয় জাতীয় থেকে রাজ্য রাজনীতিতে।
মোদি সরকারের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ বিরোধীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা বলে দাবি করে রাহুল গান্ধীর পাশে দাঁড়িয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সুপ্রিমোর সেই পদক্ষেপকে কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর।
মানহানি মামলায় সুরাট আদালতের রায়ে দু’বছর জেলের সাজা হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই খারিজ রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সাংসদ পদ। সেই ঘটনায় প্রবল শোরগোল জাতীয় থেকে রাজ্য রাজনীতিতে। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ বিরোধীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা বলে প্রতিবাদে রাহুল গান্ধীর পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সুপ্রিমোর সেই পদক্ষেপকে কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর।
এখানেই শেষ নয়, রাহুল গান্ধী সাংসদ পদ খারিজের সমর্থনে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘কোনও সন্দেহ নেই যে এই রায় প্রমাণ করে দিয়েছে, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। তা তিনি যতই প্রভাবশালী ও শক্তিশালী হন না কেন। এখানে সাধারণ মানুষের জন্য যা আইন, পাঁচ বছর ধরে ভারতে শাসন সামলানো পরিবারের সদস্যের জন্যেও আইনটা সমান। এই দেখেই তো ভয়ে আছে নিজে।’
দাদার সাজা ঘোষণার পরই আসরে নামেন বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi)। রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) সর্বদা সত্যের পথে থাকেন। তাঁর আওয়াজ দমন করার চেষ্টা চলছে বলেই এই ধরণের রায় দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন কংগ্রেস নেত্রী। এদিন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা নিয়ে রাহুলের সমর্থনে একটি টুইট করেছেন প্রিয়াঙ্কা। কার্যত দাদার ঢাল হয়ে রুখে দাঁড়ালেন তিনি।