বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রবিবার ছিল পবিত্র দোল উৎসব। আর এই দোল উৎসবের দিন বিকেল থেকেই নির্বাচনী প্রচারে নেমে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ মুখ্যমন্ত্রী চণ্ডীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী সোহম চক্রবর্তীর সমর্থনে একটি সভা করেন। ওই সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকারের এখনও ১০ বছর পূর্ণ হয়নি। আর তারমধ্যে এক বছর করোনার কারণে নষ্ট হয়েছে। দু’বার পঞ্চায়েত ভোট হয়েছে। দু’বার লোকসভার ভোট হয়েছে। আর একটা বিধানসভার নির্বাচন হয়েছে। সবকিছু বাদ দিলে মোট চার-পাঁচ বছরই আমরা কাজ করার সুযোগ পেয়েছি।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কথা শুনে পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের মুখপাত্র সায়ন্তন বসু রবিবার বলেন, ‘রাজ্যের প্রথম দফার নির্বাচনের পরই হতাশায় ভুগছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং গোটা তৃণমূল দল। তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও হার স্বীকার করে নিতে শুরু করেছেন। আর এই কারণেই তিনি দশ বছর ক্ষমতায় থাকার পরেও বলছেন মাত্র চার-পাঁচ বছর কাজ করার সুযোগ পেয়েছি।”
সায়ন্তন বসু আরও বলেন, তৃণমূল নেত্রী প্রচারে বেরিয়ে যত ঘুরছেন ততই বুঝতে পারছেন যে মানুষ ওনার কাজে অসন্তুষ্ট। আর মিথ্যে কথা বলে মানুষকে বোঝানো যাচ্ছে না।”
উল্লেখ্য, এদিনের জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার যেই চার-পাঁচ বছর কাজ করার সুযোগ পেয়েছে তাঁর মধ্যে বড়বড় রাস্তা, হাসপাতাল, সেতু সব বানিয়ে দিয়েছে। সবাইকে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড দেওয়া হয়েছে। যুবশ্রী করে দেওয়া হয়েছে, কন্যাশ্রী করে দেওয়া হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, আমরা যে জনমুখি প্রকল্প গুলো করেছি, বিজেপি ক্ষমতায় এলে সব বন্ধ করে দেবে। ওঁরা যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে স্বাস্থ্যসাথী বন্ধ করে দেবে, যুবশ্রী বন্ধ করে দেবে, কন্যাশ্রী বন্ধ করে দেবে। ওঁরা ক্ষমতায় এলে আপনারা কেউ কিছুই পাবেন না।”