বাংলাহান্ট ডেস্ক : অনুব্রত থেকে শুরু করে অভিষেক-রুজিরা সকলের দুয়ারেই কাঁটা হয়ে রয়েছে সিবিআই। আজ একই দিনে ছিল অনুব্রত মন্ডলের গোরু পাচার মামলা এবং ফিরহাদ হাকিমের নারদা মামলার শুনানি। দুটির নেপথ্যেই সিবিআই। এহেন অবস্থায় এবার বিধানসভায় সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কয়লা পাচার মামলায় বেআইনি আর্থিই লেনদেনের অভিযোগে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে দিল্লিতে তলব করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই প্রেক্ষিতেই এদিন সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মিথ্যে অভিযোগে অভিষেককে ডাকছে। ওঁর স্ত্রীকে ডাকছে। কদিন পরে তো ওঁদের দুবছরের বাচ্চাটাকেও ডাকবে সিবিআই।’
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লির বদলে কলকাতায় হাজিরার জন্য আবেদনও করেছিলেন সিবিআইয়ের কাছে। কিন্তু মেলনি অনুমতি। এই ব্যাপারেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের কাউকে সিবিআই, ইডি ডাকলে তাকে ইন পার্সন দেখা করতে হবে। আর তোমাদের কাউকে রাজ্য পুলিশ ডেকে পাঠালে তখন তোমরা বলবে ভার্চুয়ালি শুনানি করুন। এটা কেমন কথা। রাজ্যের সরকার অনেক বেশি ট্রান্সপারেন্ট।’
এরপর বিজেপিকেও এক হাত নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। ‘দিল্লিতে ক্ষমতায় আছে বলে কায়দা করে ফায়দা তুলতে চাইছে। আমরা এখন তো আর কেউ দিল্লির বিরুদ্ধে কিছু বলতেও পারি না। বিজেপি সব বন্ধ করে দিচ্ছে। কথা বলাও বন্ধ করে দিতে চাইছে।’ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে হুঙ্কারও ছেড়েছেন তিনি। ‘পেগাশাস করতে যাবেন না। আমার কাছেও এসেছিল তিন বছর আগে পেগাসাস বিক্রি করতে৷ কিন্তু আমি কিনিনি। কারণ মানুষকে তো তাদের কথা বলার সুযোগ দিতে হবে।’
প্রসঙ্গত, সোমবার গোরু পাচার কান্ডে নিজাম প্যালেসে অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করে সিবিআই। কিন্তু এই নিয়ে চতুর্থবারও তা এড়িয়ে যান তৃণমূল নেতা। একই সঙ্গে এদিন আদালতে হাজিরা দিতে হয় ফিরহাদ হাকিমকেও। অন্যদিকে সিবিআই কাঁটায় বিদ্ধ অভিষেকও। দলের সেনাপতিদের এহেন বিড়ম্বনা দেখে যে এবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী, তেমনটাই মত পর্যবেক্ষক মহলের।