বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘আমি সেটিং করি না বরং অনেকেই আমাকে সেটিং করার জন্য বসে আছে’, এদিন নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন থেকে সেটিং তত্ত্বে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে এভাবেই আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর দিল্লি যাত্রা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সঙ্গে সাক্ষাৎকে ঘিরে যেভাবে সাম্প্রতিক সময়ে বিরোধীরা একের পরে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে, এদিন তার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েই মুখ্যমন্ত্রী তীব্র আক্রমণ শানান।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দিল্লিতে রওনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অপরদিকে, রাজ্যে যেভাবে একাধিক দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে অনুব্রত মণ্ডলরা জেল হেফাজতে রয়েছেন, সেই সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মমতার সাক্ষাৎ ঘিরে বিস্তর জল্পনা সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে সিপিএম এবং কংগ্রেসের মতো দলগুলি তৃণমূল কংগ্রেসের ‘সেটিং’ তত্ত্ব খাড়া করে বসে। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক যে আসলে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির সেটিং, সে বিষয়ে তীব্র কটাক্ষ করে তারা।
এদিন সেই প্রসঙ্গে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, “অনেকে এমন রয়েছে, যারা আমাকে সেটিং করার জন্য বসে রয়েছে। আমি সেটিং করি না। কারণ এই কাজ যদি আমি করতে পারতাম, তাহলে ৩৪ বছরেই হয়ে যেত। কংগ্রেসে থাকাকালীন সিপিএম আমার পা থেকে মাথা পর্যন্ত মেরে ফাটিয়েছে।”
সেটিং তত্ত্বে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে মমতার আক্রমণ অবশ্য এ প্রথম নয়। অতীতেও সিপিএম সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলিকে দুষে তিনি বলেন, “কেন্দ্র বকেয়া টাকা দিচ্ছে না। সেই কারণে যদি হাজার বার দিল্লি যেতে হয়, তাই যাব। সিপিএমের ইয়েচুরি যদি দিল্লি যায়, তাহলে সেটা কি আপনারা সেটিং বলেন না আর আমি যদি যাই, তাহলেই সেটিং? রাজ্যের পাওনা নিয়ে যদি দিল্লির দরবারে যেতে হয়, তাহলে আমি যাব।”
এদিনও সেই সূত্র ধরেই মমতা বলেন, “আমাকে কারোর সাথে সেটিং করতে হয় না আর অতীতেও করিনি। সেই কারণে আমার মাথা থেকে পা এবং শরীরের অন্যান্য অংশে এমন কোন জায়গা নেই, যেখানে মার খাইনি।” এছাড়াও সুভাষচন্দ্র এবং চিত্তরঞ্জন বসুর প্রসঙ্গ টেনে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সমস্ত রাজনীতিবিদ কিন্তু খারাপ হয় না। এটা মনে রাখবেন, সকলেই যদি খারাপ হতো তবে চিত্তরঞ্জন বসু এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মতো মানুষ দেশবাসী পেত না।”