বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘আগেকার দিনে স্কুল এবং কলেজে যে সকল পরীক্ষাগুলি হতো, সেখানে আমাদের পড়ুয়াদের কম নম্বর প্রদান করা হতো। এখন তারা অনেক বেশি নম্বর পাচ্ছেন’, এদের নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে (Netaji Indoor Stadium) পড়ুয়াদের স্মার্টফোন বিলি করার অনুষ্ঠানে পৌঁছে এহেন মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
সাম্প্রতিক সময়ে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির পাশাপাশি স্কুল এবং কলেজে ভর্তি নিয়েও একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে ড্যামেজ কন্ট্রোলে তৎপর শাসক দল। নিয়োগে স্বচ্ছতা আনার পাশাপাশি দুর্নীতি যে কোনভাবেই বরদাস্ত করবে না সরকার, সে বিষয়ে অতীতে একাধিকবার মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠানে অতীতের নম্বর বিভাজন ইস্যুতে একাধিক মন্তব্য রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আগে স্কুল এবং কলেজে পড়ুয়াদের কম নম্বর প্রদান করা হতো। হাত দিয়ে নম্বর গলতো না। তাই আমাদের এখানকার ছাত্র-ছাত্রীরা কম নম্বর পেত। এক প্রকার নম্বর দেওয়াই হতো না। আর এখন দেখুন সবাই ৮৮, ৮৯ এবং ৯৯ করে পাচ্ছে। আমি ক্ষমতায় আসার পর নম্বর বাড়ানোর কথা বলি।” এক্ষেত্রে নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী বামেদের আক্রমণ করলেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, “আমি দেখি icsc, cbsc রয়েছে, ওরা প্রতিটি পরীক্ষায় ৯০-এর উপর নম্বর পায়। ফলে আমাদের ছেলেমেয়েরা যখন প্রতিযোগিতা দিতে যেত, তখন সফল হওয়ার সুযোগ কম ছিল। সেই জন্যই আমি নম্বর বাড়ানোর নির্দেশ দিই।”
এরপর বাংলায় পড়াশোনা করার সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরে মমতা বলেন, “এখন বাংলায় পড়াশোনা সুযোগ আগের থেকে অনেক বেশি। ইউক্রেনের ছেলেমেয়েগুলোর সঙ্গে কি হলো, আপনারা সবাই দেখেছেন আর আমাদের বাংলায় বর্তমানে কলকাতা, প্রেসিডেন্সি এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিটি এক কিংবা দুই নম্বর রয়েছে। আমাদের এখানকার শিক্ষক-শিক্ষিকারা পড়ুয়াদের খুব যত্ন করে এবং ভালোভাবে পড়ান।”
প্রসঙ্গত, নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি কাণ্ডে বর্তমানে কোণঠাসা তৃণমূল কংগ্রেস। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য সহ আরো একাধিক শিক্ষা আধিকারিকরা হেফাজতে। এই পরিস্থিতিতে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষায় বাংলা বর্তমানে এক নম্বরের রয়েছে। তবে কাজ করতে গেলে অনেক সময় ত্রুটি হয়। যদি কেউ কোনো রকম ভুল করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইন আইনের মত চলবে। আমি বলব, আপনারা লোভে কখনো পা দেবেন না। কারণ, লোভ বিপদ বাড়ায়।”