বাংলাহান্ট ডেস্ক : আজ আলিপুর কোর্টের (Alipore Court) একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) বেশ কড়া মেজাজে দেখা গেল। বাম আমলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “যখন আমি বিরোধী ছিলাম তখন দেখতাম শিক্ষকরা বেতন পাচ্ছেন না ১ তারিখে। ১৫-২০ তারিখ হয়ে যেত বেতন পেতে। আবার কখনো কখনো পেরিয়ে যেত তিন থেকে ছয় মাস। সময়মতো পেনশন পেতেন না অবসরপ্রাপ্তরা।”
পাশাপাশি তৃণমূল সুপ্রিমোর সংযোজন, আমি গর্ব করে বলতে পারি, এত ঋণ শোধ করার পরেও বেতন ও পেনশন মাসের পয়লা তারিখে দিয়ে দিই।” এই অনুষ্ঠান-মঞ্চ থেকে সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতার ব্যাপারে তিনি জানান, “আমরা ডিএ দিচ্ছি রাজ্যের ষষ্ঠ বেতন কমিশনের কাঠামো অনুযায়ী। কিন্তু আপনারা যদি রাজ্য সরকারের কাজ করে কেন্দ্রীয় সরকারি হারে বেতন চান তাহলে তো সেটা সম্ভব নয়।”
এছাড়াও রাজ্য ও কেন্দ্রের পার্থক্য বোঝাতে গিয়ে তিনি টেনে আনেন সেন্ট্রাল ও স্টেট স্কুলের শিক্ষকদের বেতন পরিকাঠামোর ফারাকের প্রসঙ্গ। এদিকে, টানা অনশন, আন্দোলনের পর মধ্যস্থতা করেছিলেন খোদ রাজ্যপাল। কিন্তু, মহার্ঘ ভাতা নিয়ে নিজেদের অবস্থানে অনড় আন্দোলনকারীরা। রাজ্য সরকারকেই নরম হতে হবে বলে সাফ বার্তা দিয়েছেন তাঁরা। তবে, এদিন আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, রাজ্যের কাছে রিজার্ভ ব্যাংক নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তা রয়েছে। তাই তারা টাকা ছাপাতে পারে। তাই রাজ্যের ক্ষমতা সীমিত। একই সাথে মুখ্যমন্ত্রী বলেন বর্তমানে সারাদেশে অভিন্ন কর কাঠামো চালু রয়েছে। কেন্দ্র সব করের টাকা নিয়ে চলে যায়। অন্যদিকে, রাজ্যকে প্রাপ্য টাকা তারা মেটায় না। এর ফলে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাজ্যের অর্থনীতি।