বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ১৪ তারিখ জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি হামলায় শহীদ হয়েছিলেন ৪০ জন ভারতীয় জওয়ান। এই ঘটনার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি পাকিস্তানকে দোষী মানতে নারাজ হয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পরই জানা যাবে পাকিস্তান দোষী নাকি, তাঁর আগে তাঁদের উপর দোষ চাপিয়ে দেওয়া ঠিক না।
আর এবার সেই পুলওয়ামা প্রসঙ্গ টেনে এনে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘পুলওয়ামার ঘটনা আমাদের মনে আছে। যাদের মারতে গিয়েছিল, তাঁদের না মেরে নিজেদের লোককে মেরে চলে এসেছিলেন। বেশি মুখ খোলাবেন না। আমরা দেশকে অনেক ভালবাসি, তাই কিছু বলিনা।”
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর সভাবতই প্রশ্ন উঠে আসছে যে তিনি কি বললেন? আর কি জানেন? উল্লেখ্য, পুলওয়ামা হামলার বদলা নিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের সীমান্তে ঢুকে এয়ার স্ট্রাইক করেছিল। ভারতীয় সেনা সেই সময় পাকিস্তানের বালাকোটে জঙ্গি ঘাঁটিতে বোমা ফেলে সেগুলোকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল।
অনেক মিডিয়ায় রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল যে, ভারতের এই এয়ার স্ট্রাইকে কমপক্ষে ২০০ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছিল। তবে সরকারি ভাবে সেই কথা কোনদিনও দাবি করা হয়নি। আরেকদিকে, পাকিস্তান সরকার জানিয়েছিল যে, তাঁদের কোনও ক্ষতিই হয়নি। তবে, পাকিস্তান সরকার ওই এলাকায় দীর্ঘদিন সাধারণ মানুষ এবং মিডিয়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এখন প্রশ্ন উঠছে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ কোন ঘটনার কথা উল্লেখ করে এই কথা বললেন?
বিজেপির প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য তুলে ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘রাজনীতির ময়দানে তীব্র লড়াই হচ্ছে .. মানছি !! কেউ কারোকে ছেড়ে কথা বলছেনা – বলবেই বা কেন || কিন্তু সর্বনিম্ন স্তরেরও একটা সর্বনিম্ন স্তর থাকে – মাননীয়া সেটাও ভুলে যান !! একজন মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এসব কথা মানায় কি??”