বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাঁচ বছর পর পর নন্দীগ্রামে গিয়ে নিজেকে সেখানকার প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ওনার এই ঘোষণার পর সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেছিলেন, দল যদি আমাকে ওই আসন থেকে দাঁড় করায় তাহলে আমি মুখ্যমন্ত্রীকে গো হারান হারাব। শুভেন্দুবাবুর সেই দাবি মেনেছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। শুভেন্দু অধিকারীকে তাঁর চিরাচরিত আসন নন্দীগ্রাম থেকেই টিকিট দিয়েছিল গেরুয়া শিবির।
একুশের নির্বাচনের এপিসেন্টার নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গো হারান না হারাতে পারলেও জয়ী হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারীই। ১ হাজার ৯৫৬ ভোটে ওই কেন্দ্রে জয়লাভ করেছিলেন শুভেন্দুবাবু। বিজেপির নেতাকে জয়ী ঘোষণা করলেও তৃণমূল তা মানতে রাজি হয়নি। কারণ ওই কেন্দ্রে তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থী ছিলেন স্বয়ং দলনেত্রী। আর এই কারণে তৃণমূলের তরফ থেকে পুনরায় গণনার আবেদনও করা হয়েছিল। কিন্তু কমিশন তা খারিজ করে দেয়।
আর ফলাফল ঘোষণার দেড় মাস পর তৃণমূল আবারও নন্দীগ্রাম নিয়ে মাথাচাড়া দিয়েছে। এবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে নন্দীগ্রামের জনাদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছে। এই মামলা করেছেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। করোনার কারণে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেই মামলার শুনানি হবে।
২ মে ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘গোটা রাজ্যের থেকে আলাদা দায় দিয়েছে নন্দীগ্রাম। এটা কখনও হতে পারে না। আমি আদালতে যাব। আমি খবর পেয়েছি গণনার সময় সেখানে কারচুপি হয়েছে। কী থেকে কী হয়েছে সেটা খুঁজে বের করব।” ২১৩ আসন নিয়ে বাংলায় তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নিজের হার মেনে নিতে পারেন নি সেটা বলাই বাহুল্য। আর সেই কারণেই তিনি এবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। বিজেপির মুখপাত্র শমিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মামলা করতেই পারেন। তবে এটা থেকে এই বিষয়টা স্পষ্ট হচ্ছে যে, তিনি নিজের হার মেনে নিতে পারছেন না।”