বাংলাহান্ট ডেস্ক : বুধবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। বিচারাধীন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আদালতের বাইরে মন্তব্য করছেন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়, এই অভিযোগে শীর্ষ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক।
এই ঘটনার পরের দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমবারের জন্য মুখ খুললেন। নবান্নে আজ সাংবাদিক বৈঠকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম না করে প্রশ্ন করা হলে মমতার উত্তর, ‘‘আমাকে এ সব প্রশ্ন করবেন না! বিচারব্যবস্থা নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। আমি আমার লক্ষণরেখা জানি। আপনারাও সেই রেখা অতিক্রম করবেন না।’’
আরোও পড়ুন : ২১০০ কেজির ঘণ্টা, ১০৮ ফুট লম্বা ধূপকাঠি… রাম মন্দিরের জন্য দেশ-বিদেশ থেকে আসছে উপহার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিলেও, পরোক্ষভাবে অনেক কিছু বুঝিয়ে দিয়েছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।লক্ষণরেখা শব্দটি ব্যবহার করে মুখ্যমন্ত্রী আদতে বোঝাতে চেয়েছেন যে তিনিও লক্ষণরেখা যেমন পার করবেন না, অন্যান্যরাও যাতে নিজেদের গণ্ডি বা সীমানা অতিক্রম না করেন।
আরোও পড়ুন : ফ্রি ফ্রি ফ্রি! এই ৩ টি পরিষেবার জন্য দিতে হবে না এক পয়সাও, ধামাকা অফার আনল Jio
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সন্দেশখালি কান্ড নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য এই বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। তাই তিনি কোনও ধরনের মন্তব্য করবেন না এই বিষয়ে। সন্দেশখালি কান্ড নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গত শুক্রবার মুখ খোলেন।
তিনি বলেন, ‘‘ইডি অফিসারদের হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলাম। দুর্নীতির তদন্ত আটকাতে রাজ্য সরকার কত টাকা সুপ্রিম কোর্টে খরচ করল? পরিমাণটা আমি জানতে চাই।’’ অন্য আরেক জায়গায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘এটা কী ধরনের রাজ্য চলছে, কী ধরনের প্রশাসন চলছে, তা আমরা বুঝতে পারছি সকলেই। দেখা যাক কত দিন চলে!’’
বুধবার সুপ্রিম কোর্টে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে আর্জি জানানো হয়, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি যেন যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আদালতের বাইরে বারবার এক পক্ষের বয়ান তুলে ধরছেন, অভিষেকের আর্জি এই বিষয়টি থেকে যেন তাঁকে বিরত থাকতে বলা হয়।