বাংলাহান্ট ডেস্কঃ হাতে মাত্র আর কদিন, তারপরই ৩০ শে সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে রয়েছে উপনির্বাচন। কোমর বেঁধে প্রচারের মাঠে নেমে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার দুপুরের বৃষ্টির মধ্যেও সভা করেলন একবালপুরে। হুঙ্কার দিলেন বিরোধীদের বিরুদ্ধে।
মুখ্যমন্ত্রীর নিজের গড়ে হলেও এই নির্বাচনকে যে তৃণমূল একদমই হালকা ভাবে নিচ্ছে না, তা চেতলায় করা প্রথম কর্মিসভা থেকেই স্পষ্ট ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, প্রচারের জন্য ঘরে ঘরে যেতে হবে। মাথা ঠান্ডা করে সবটা মাথায় রেখে এগোতে হবে। এই লড়াইকে একদমই হালকা ভাবে নেওয়া যাবে না।
এদিনের একবালপুরের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই নির্বাচনে আপনাদের প্রতিটা ভোট খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে। কারণ আমি হেরে গিয়ে অন্য কেউ মুখ্যমন্ত্রী হলে, তখন সিএএ-এনআরসি-র বিরুদ্ধে আপনাদের জন্য লড়বে কে?’
আবার খিদিরপুরের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবারই খিদিরপুর আমার সঙ্গে ছিল। ২০১১ সালে উপনির্বাচনে আপনাদের ভোট পেয়েই ভবানীপুর থেকে মুখ্যমন্ত্রী হতে পেরেছি। আবার ২০১৬ সালেও এখান থেকে জিতেই মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলাম। ভাগ্যের ফেরে দেখুন আবার সেই ভবানীপুরেই দাঁড়ালাম। আল্লাহ মেহেরবান, মা দুর্গা, কালী ঠাকুররের হয়ত এটাই ইচ্ছা। আমার পক্ষে আপনাদের ছেড়ে যাওয়া অসম্ভব’।
প্রচারের মঞ্চে দাঁড়িয়ে নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গে গর্জে উঠে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘লড়াই করতে গিয়েছিলেম নন্দীগ্রামে। দেখলেন তো কীভাবে ওখানে আমাকে হারানো হয়েছে। আমাকে হারানোর জন্য কি না করেছে ওরা। এই নিয়ে আদালতে এখনও মামলা চলছে’।