অর্ণব মৈত্রঃ মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর এই প্রথম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হলেন বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। লোকসভা নির্বাচনের পর বারাসাত এর মধ্যমগ্রাম নজরুল মঞ্চে এই প্রথম প্রশাসনিক বৈঠকে বসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সুজিত বসু, রথিন সরকার, সুজিত বসু, সব্যসাচী দত্ত সহ উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক। টানা দুই ঘণ্টার এই প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে কখনো কড়া সুরে কখনো আবার ব্যাঙ্গ করতে দেখা যায়। মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হলেন বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। এই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হয়ে তিনি নানা অভাব অভিযোগের কথা তুলে ধরেন। এদিন সব্যসাচী দত্ত বলেন,’বিভিন্ন দপ্তরের মধ্য সংযোগের অভাব আছে, ভুমি ও মৎস দপ্তরের নানা রকম নথিতে প্রচুর গরমিল রয়েছে, জলা ভূমি ও বাস্তূ জমির রেকর্ড অসংগতি আছে, নলকূপ থেকে প্রচুর পরিমানে জল তোলা হচ্ছে ও পাইপ লাইনের জল প্রচুর পরিমানে নস্ট হচ্ছে’। এই সব অভাব অভিযোগের কথা শোনার পর মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে জল সম্পর্ক নানা রকম ভাবে প্রচারের মাধ্যমে যেমন মোড়ে মোড়ে মাইক নিয়ে,সাইকেল নিয়ে জল অপচয় বন্ধ করার জন্য মানুষদের অবগত করার নির্দেশ দেন। বাকি অভিযোগ গুলো তে তিনি অস্বস্তি প্রকাশ করে বিষয় গুলো জেলা শাসকের দিকে ঠেলে দেন। এর পাশাপাশি ব্লক আধিকারিকদের তপশিল
জাতি,উপজাতি দের পরিচয় পত্র দ্রুত পাইয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে সমস্থ আধিকারিকদের আরে সজাগ হওয়ার নির্দেশ দেন। সীমান্তে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক দের আরো চোখ কান খোলা রেখে কাজ করার আর্জি জানান। ব্যারাকপুর জনপ্রতিনিধিদের এলাকা শান্তিপূর্ণ রাখার নির্দেশ দেন। শুধু তাই নয়, হাবড়ায় একটি স্কুল ছয় বছর বন্ধ থানার কথা জানতে পেরে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি। হাসনাবাদের বিতর্কিত তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের সদস্য ফিরোজ কামাল গাজি (বাবু মাস্টার ) এদিন একটি সেতুর কথা বলতে তাঁকে তিব্র র্ভৎসনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জল প্রকল্প, আর্সেনিক সহ বিভিন্ন প্রকল্পে আরো মনোযোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।প্রায় দুই ঘণ্টার এই বৈঠকে তিনি আরে জানান যে এই জেলায় দশটি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে।