‘অন্য আদালতে যান..,’ জনস্বার্থ মামলায় বিরাট মন্তব্য, কী জানাল কলকাতা হাইকোর্ট?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাধুদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তার বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলাতেই হাইকোর্টে (Calcutta High Court) স্বস্তি পেলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। মমতার বিরুদ্ধে করা মামলায় প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘এটা পুরনো গল্প। হলফনামা দেখে জনস্বার্থ মামলা বলে মনে হচ্ছে না। অন্য কোনওভাবে অভিযোগ জানাতে পারেন। অন্য আদালতে যাওয়া যেতে পারে।’

লোকসভা ভোটের আগে জোর প্রচার চালিয়েছেন মমতা। সেই প্রচারপর্ব চলাকালীন আরামবাগে সভা করেছিলেন গত ১৮ মে। সেখানে রামকৃষ্ণ মিশন ও ভারত সেবাশ্রম সংঘের কয়েকজন সন্ন্যাসীকে আক্রমণা করেন মমতা। এরপর কামারপুকুরের সভা থেকে বহরমপুরের ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রধান কার্তিক মহারাজকে তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ভরা সভায় দাঁড়িয়ে মমতা বলেছিলেন, ” বহরমপুর একজন মহারাজ আছেন। কার্তিক মহারাজ। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে আমি খুব শ্রদ্ধা করতাম। আমার শ্রদ্ধার্ঘের তালিকায় দীর্ঘ দিন ধরেই তারা রয়েছে। কিন্তু যে লোকটা বলে, তৃণমূলের এজেন্ট বসতে দেব না। আমি সেই লোকটাকে সাধু বলে মনে করি না। তার কারণ, সে সরাসরি রাজনীতি করে দেশটার সর্বনাশ করছে। ”

mamata hc 5

আরও পড়ুন: ‘আজকের মধ্যেই..,’ রাজ্যকে বিরাট নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের, এবার ঘুরবে মোড়?

মমতার কথায় যেসব সাধু সরাসরি রাজনীতি করে দেশটার সর্বনাশ করছেন, তাদের আমি সাধু বলে মানি না। এরপরই রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ, ইসকন মন্দিরের পলিটিক্স যোগ নিয়ে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে রাস্তায় নামেন সাধুরা। মিছিল করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। পাশাপাশি সঙ্ঘের পক্ষ থেকে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলাতেই রেহাই পেলেন মমতা।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর