বাংলা হান্ট ডেস্ক : চলতি বছরের নভেম্বর মাসে পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় বুলবুল, তাই সুন্দরবন সহ বসিরহাট এবং বিস্তীর্ণ অঞ্চলে প্রভূত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বুলবুলের তাণ্ডবে। বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, মাঠের পর মাঠ ফসল ভরা খেত নষ্ট হয়ে গেছে। আর এতেই কার্যত বিপাকে পড়তে হয়েছে কৃষকদের। একটি ফসল ঘরে তোলা যায়নি এমনও অবস্থা হয়েছে সুন্দরবন ও বসিরহাটের কৃষকদের একাংশের।
তাই তো রাজ্য সরকারের তরফে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছিল। এ বার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে চলেছে রাজ্য সরকার, চাষিদের ক্ষতিপূরণের কথা মাথায় রেখে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের পাশে দাঁড়িয়ে সাতাশ হাজার টাকা অবধি আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ন্যূনতম এক হাজার থেকে 27 হাজার টাকা অবধি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই কৃষি দফতরের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে যে কৃষকদের 33 শতাংশ বা তার বেশি জমিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা করা হয়েছে। হাওড়া হুগলি পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কৃষকদের এই আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
তবে জমি হিসেবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেই জানানো হয়েছে নবান্নের তরফে। যে সমস্ত জমিতে একাধিক মরসুমের ফলন হয় সেই জমির ক্ষেত্রে আঠেরো হাজার টাকা হারে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে অন্যদিকে এক ফসলি জমির ক্ষেত্রেই সাড়ে তেরো হাজার টাকা হারে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই ঘোষণা যথেষ্ট খুশি রাজ্যের কৃষকরা।
তবে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা যাতে এই সুযোগ সঠিকভাবে পায় তার জন্য বিশেষ নজর রাখার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নের তরফে সংশ্লিষ্ট জেলায় চিঠি পাঠানো হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা নিজের ব্লকে গিয়ে সমস্ত তথ্য প্রমাণ জমা দিয়েই ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ক্ষতিপূরণের টাকা জমি হিসেবে নিজেদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।