‘ভ-এ ভারত, ভ-এ ভবানীপুর, এখান থেকেই শুরু হবে ভারতবর্ষের’- হুঙ্কার মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আগামী ৩০ শে সেপ্টেম্বর ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন। জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), সঙ্গে থাকছে তাঁর বিশাল সেনাবাহিনীও। প্রচারে বেরিয়ে বৃহস্পতিবার যোগ দিয়েছিলেন চক্রবেড়িয়ার একটি প্রচারসভায়। সেই সভা থেকেই ‘দিল্লী’র ডাক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

নিজের গড়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও, প্রচারে কোন রকম খামতি রাখতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী। সেই কারণে প্রচার চলছে জোরকদমে। এদিন চক্রবেড়িয়ার প্রচার সভায় যোগ দেওয়ার আগে প্রথা মেনে সেখানকার জৈন মন্দিরে পুজো দেন তিনি, করেন আরতিও। সেখানকার জৈনগুরুদের সঙ্গে দেখা করে, তাঁদের প্রণাম জানিয়ে আশির্বাদও নেন মুখ্যমন্ত্রী।

Mamata Jain temple

বৃহস্পতিবার চক্রবেড়িয়ার সভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সুব্রত বক্সি, দেবাশিস কুমাররাও। সভা মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী হুঙ্কার দিয়ে বলেন, ‘নন্দীগ্রামে আমাকে কিভাবে হারানো হয়েছে, তা আপনারা দেখেছেন। মনোনয়ন জমা দিয়েই পা জখম করে দেওয়া হয় আমার, হুইলচেয়ারে করেই রাজ্য ঘুরেছি। ওঁদের নেতারা রোজ দিল্লী থেকে এখানে এসেছে। ঠিকঠাক ভোট হলে, ওরা ৩০ টির বেশি আসনও পেত না’।

ভবানীপুর থেকেই দুবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর আবার সেই ভবানীপুরেই দাঁড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে জিতে বিধায়ক না হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসা শোভনীয় হয় না। ২০১১ সালেও উপনির্বাচনে এখান থেকে জিতেই মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলাম, এবারেও তাই হবে। এখান থেকেই আমি মুখ্যমন্ত্রী হব’।

দিল্লীর ডাক দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভ-এ ভারতবর্ষ, ভ-এ ভবানীপুর। ভবানীপুর থেকেই ভারতবর্ষ শুরু হবে। এই ভবানীপুর থেকে বাংলা নিজের মুখ্যমন্ত্রী পাবে এবং ভারত দেখবে। ৩০ তারিখ সরকারি ছুটি রয়েছে। বৃষ্টি হলেও সকাল সকাল ভোট দিতে যাবেন। আমাদের দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায়, যে কেউ মুখ্যমন্ত্রী হতে পারে। তবে আমাকে চাইলে, সকলে ভোটটা দেবেন’।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর