বাংলা হান্ট ডেস্ক : একদিকে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে একপ্রকার গোটা দেশ জ্বলছে। আর কেন্দ্রের নাগরিকত্ব আইনের প্রভাব পড়েছে রাজ্যে। একের পর এক রাজ্যগুলিতে যেভাবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদের জোয়ার উঠেছে তা নিয়ে কিন্তু দেশের রাজনীতির ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। তাই এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচন একেবারে ঠারে ঠারে বুঝিয়ে দিল নাগিরকত্ব সংশোধনী আইনেরফল আসলে কি হতে পারে।
যদিও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নিয়েই অভিযোগ তুলেছেন ঝাড়খণ্ড বাসী। কিন্তু হার তো হারই তাই বিভিন্ন আঙ্গিকে হারের কারণ দর্শানো হচ্ছে। আর এরই মধ্যে এবার বিরোধীদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার জন্য বিরোধী দলগুলিকে চিঠি দিয়ে ঐক্যের ডাক দিলেন মমতা। বিরোধী শিবিরগুলিকে এক মঞ্চে জোটবদ্ধ হওয়ার বার্তা দিলেন তিনি। তাই তো মুখ্যমন্ত্রী বিজোপি বিরোধী সমস্ত দলগুলিকে চিঠি দিয়ে ‘‘আজ, আগের থেকে অনেক বেশি করে আমাদের একত্রিত হয়ে এই নির্মম সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।’’ বলে চিঠি লিখেছেন।
পাশাপাশি কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী থেকে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার সকলের সঙ্গে একযোগে বৌঠকে বসার কথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।হ্যাঁ শুধু পশ্চিমবঙ্গের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে দেশের বিভিন্ন বিরোধী দলেদের এক হওয়ার বার্তা দিলেন তিনি। মাত্র কয়েক বছর আগে গেরুয়া ঝড় উঠেছিল। তবে ঝড় ওঠা মাত্রই বেশ সাফল্যও ছিল।
তাই তো ২০১৭র ডিসেম্বরে ৭১ শতাংশ এলাকায় বিজেপির শাসন ছিল। কিন্তু ২০১৯-এর ডিসেম্বরে সেই স্থান নেমেছে ৩৫ শতাংশে নেমে গেছে। অন্যদিকে রাজ্যের নিরিখে ৬৮ শতাংশ হলেও এখন কিন্তু তা ৪৩ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থাত্ একসময় বিজেপি ঘেঁষা মানুষগুলো আজ বিজেপি বিরোধী হয়ে উঠেছে।
একদিকে মহারাষ্ট্রে এনডিএ জোট তো ভেঙেইছে। তারসঙ্গে ঝাড়খন্ডে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে লড়াই করেও ফলাফল মুখ থুবড়ে পড়েছে। তাই তো এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার সোমবার নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর বলেন, ‘‘এই ফল স্পষ্ট বলছে, মানুষ অ-বিজেপি দলগুলির সঙ্গে রয়েছে।
রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের পর এ বার ঝাড়খণ্ডেও মানুষ বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’তাই তো সনিয়া ও শরদ পাওয়ারকে চিঠি দিয়ে মমতা লিখেছেন, ‘‘আমার বয়োজ্যেষ্ঠ নেতানেত্রী ও সব রাজনৈতিক দলের কাছে সনির্বন্ধ অনুরোধ, এর বিরুদ্ধে এক সুরে, একজোট
হয়ে রুখে গাঁড়াতে হবে।’’