বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০১১ সালে বাংলায় রাজনৈতিক পালাবদল হলেও বাম জামানায় পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক শিল্প বন্ধের জন্য অনেকেই দায়ী করে থাকেন সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটু-কে। এই সংগঠনের জঙ্গিপনা রাজ্যে কলকারখানা বন্ধের অন্যতম কারণ ছিল বলে মনে করা হয়। সেই, ‘মানছি না,মানবো না সংস্কৃতি’ একসময়ের শিল্প-কলকারখানার ঠাসা বাংলাকে কার্যত শিল্পশূন্য করে তুলেছে।
আইএনটিটিইউসি-র উদেশ্যে মমতার (Mamata Banerjee) কড়া বার্তা
তবে বাম জামানা এখন অতীত! ক্যালেন্ডারের সাথেই বদলেছে সরকার-রাজ্য-রাজনীতি। তবে বদলায়নি সেই পুরনো ‘দাদাগিরি।’ দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় ধরে বাংলায় ক্ষমতায় রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার। তখন সিটু যেমন ক্ষমতাশালী ছিল এখন ততটাই প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে তৃণমূলের ট্রেড ইউনিয়ন তথা আইএনটিটিইউসি (INTTUC)।
সোমবার নবান্নের (Nabanna) বৈঠক থেকে দলের সেই শ্রমিক সংগঠনের উদ্দেশ্যে সরাসরি কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ট্রেড ইউনিয়ন গুলোকে বলবো অযথা বাড়াবাড়ি করবেন না। দরকারি বিষয় হলে সরাসরি কথা বলে বিষয়টা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। একইসাথে তাঁর সংযোজন, ‘কারও ব্যক্তিগত চাহিদার জন্য কিছু করা যাবে না। স্থানীয় কোনও নেতা টাকা চাইলে দ্রুত প্রশাসনকে জানাবেন। প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।’
আরও পড়ুন: আবাস প্রকল্পে থমকে বাড়ি তৈরির কাজ! প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য, বিরাট হৈচৈ
একইসাথে মুখ্যমন্ত্রী এদিন স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, ট্রেড ইউনিয়ন চালাতে টাকা চেয়ে জুলুমবাজি চলবে না। সংগঠন চালাতে অর্থের প্রয়োজন একথা মেনে নিয়েই তিনি জানিয়েছেন সেই অর্থ চাঁদা বা অনুদান থেকেই আসে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘মানুষ যদি ভালোবেসে কোনও পার্টিকে কিছু দিতে চায় দিতেই পারে’।
তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের বেশ কয়েক জন নেতাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন মমতা। রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের উদ্দেশ্যে এদিন তিনি বলেছেন, ‘দুর্গাপুরের আইএনটিটিইউসির সভাপতি চেঞ্জ করতে বলেছি। হলদিয়াতেও আইএনটিটিইউসি চেঞ্জ করতে হবে। দরকার হলে এমন আরও কয়েকটা জায়গায় চেঞ্জ করব।’