‘এটা পেলাম, ওটা দাও বললে হবে না! জাদুকর নই!” নাম না করে DA নিয়ে কঠোর বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বুধবার তিনদিনের জঙ্গলমহল সফরে বেড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আজ বৃহস্পতিবার, মেদিনীপুরে (Medinipur) কলেজ মাঠে প্রশাসনিক সভা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখান থেকেই কেন্দ্রের মোদী সরকারকে একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিবারের মত কেন্দ্র টাকা দিচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, এদিন নাম না করে মহার্ঘ্য ভাতা (DA) নিয়েও কঠোর বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন প্রকাশ্য জনসভা থেকে নাম না নিয়ে রাজ্যের ডিএ ও কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‌প্রত্যেক জাতির নিজের নিজের সমস্যা আছে। সেগুলির সমাধানও করতে হবে। কিন্তু আমরা তো জাদুকর নই। টাকাটাও জোগাড় করতে হবে। অনেকে বলেন, এটা পেলাম, ওটা দাও। আরে যেটা পেলে, সেটাকেও ধরে রাখতে হবে। সেটা কোথা থেকে জোগাড় হবে?”

এরপরেই কেন্দ্রের উদ্দেশে তোপ দেগে মমতা বলেন, “কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। শুধু বঞ্চনা করছে আর মিথ্যে কথা বলছে। বলছে, আধার লিঙ্ক না থাকলে ১০০ দিনের কাজে টাকা দেবে না। বিজেপি নেতাদের কথায় কেন্দ্র আমাদের কোনও টাকা দিচ্ছে না।’‌ শুধু তাই নয়, রাজ্যের ৩ শতাংশ ডিএ নিয়ে বিজেপির সমালোচনারও কড়া ভাষায় জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‌বিজেপি নেতারা গিয়ে বলছেন, রাস্তার টাকা দিও না, জলের টাকা দিও না, বাড়ির টাকা দিও না, ১০০ দিনের কাজের টাকা দিও না। মানুষ উপকৃত হলে আমরা কী করে ভোট চাইব। আমি বলি, তোমাদের লজ্জা থাকা উচিত। কারণ এগুলি মানুষের টাকা, তোমাদের নয়। জনগণের করের টাকা তুলে নিয়ে যায় দিল্লি।’‌

mamata banerjee

প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে তিন দিনের জেলা সফরে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার বিকেল নাগাদ কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে চেপে মেদিনীপুর কলেজ মাঠে নামেন মমতা। আজ মেদিনীপুরে জনসভায় যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর রওনা দেবেন পুরুলিয়ার উদ্দেশে। সেখানে হুটমুড়া ময়দানেও পরিষেবা প্রদান কর্মসূচি রয়েছে তার। এরপর রাতেই পৌঁছবেন বাঁকুড়ায়। শুক্রবার সেখানে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান সেরে ফিরবেন কলকাতায়। জানা গিয়েছে তিন দিনের এই সফরে কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর