‘আমি ওই সব টাকা নিই না, অফিসাররা খায়..,’ নবান্নে বসে ‘বেফাঁস’ মমতা! এবার চরম হুঁশিয়ারি

   

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বৃহস্পতিবার নবান্নের (Nabanna) বৈঠকে কার্যত ঝড় তুলে দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। একে একে রাজ্যের মন্ত্রী, সচিব আমলা থেকে শুরু করে পুলিশ কর্তা সবাইকেই তুলোধোনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister)। এদিনের বৈঠকে আর কাওকেই রেয়াত করেননি তৃণমূল নেত্রী।

বিশেষ করে একশ্রেণীর অফিসারদের উদ্দেশ্যে চরম হুঁশিয়ারি  দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন বেআইনি জবরদখল থেকে শুরু করে শহরাঞ্চলের বেআইনি কারবার আর বরদাস্ত করবেন না তিনি।এদিন প্রথমেই কলকাতা শহর ও সংলগ্ন শহরতলীতে বহিরাগতদের বেআইনি জবরদখল নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

তারপর পূর্ত দপ্তরের একশ্রেণীর অফিসারদের কথা উঠে আসে। তখনই জেলা ভিত্তিক এবং বিভাগীয় প্রশাসনিক কাজ কর্মের রিপোর্ট দেখেই মেজাজ হারান মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের কাজের প্রতি অনীহা দেখে ভর্ৎসনা করার পাশাপাশি এদিন মেজাজ হারিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,’এবার কি আমাকে ঝাঁটা নিয়ে রাস্তায় নামতে হবে?’

আরও পড়ুন: কয়লাকাণ্ডে CBI-র বড় অ্যাকশন! গ্রেফতার ইসিএল কর্তা-সহ ২, এবার সামনে আসবে বড় নাম?

সেই সাথে পূর্ত দপ্তরের অফিসারদের একশ্রেণীর অফিসারদের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘ওদের তো কোন দায়িত্ব নেই। শুধু টাকা খাওয়া কাজ।’ নবান্ন সূত্রে খবর এদিন একেবারে রণমূর্তি ধারণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সকলের সামনেই তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘আমি ওই সব টাকা নিই না। নিতে চাই না। অফিসাররা টাকা খাবেন। আমি বদনাম নেব কেন? কতবার করে জেলা শাসকদের বলেছি, জমি মাফিয়াদের আটকাও। শেষ করো ওদের কারবার। কিন্তু বারবার ডিএম-দের বলা সত্ত্বেও তা বন্ধ করতে পারেনি। এর দায় কার?’

CM 1

জানা গিয়েছে এদিনের বৈঠকে ভূমি রাজস্ব অফিসার তথা বিএলআরও-দেরও ছেড়ে কথা বলেননি তৃণমূল নেত্রী। তাদের ওপরেও ক্ষোভ উগরে দিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ,’বিএলআরও-দের একাংশের টাকা তোলা ছাড়া কাজ নেই। এ ব্যাপারে তিনি সাফ বলেন, ওঁদের বলুন, চাকরি থেকে ছাঁটাই করে দেব। ওঁদের লিভ দিয়ে দিন। কারণ ওঁদের চাকরিতে রাখা মানেই সরকারের লোকসান। তার চেয়ে বরং বসিয়ে দিন। কাউকে চুরি করার অধিকার দেওয়া হয়নি। সরকার তো মাইনে দিচ্ছে। তার পরও চাই, চাই আর চাই।’

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর