বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত প্রায় আড়াই মাস ধরে বাংলাদেশে (Bangladesh) বন্দি ছিলেন এদেশের ৯৫ জন মৎসজীবী। সম্প্রতি তাঁরা দেশে ফিরেছেন। সোমবার গঙ্গাসাগরের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাঁদের জন্য আর্থিক সহায়তার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই সঙ্গেই দাবি করেন, বাংলাদেশে তাঁদের মারধর করা হয়েছে।
ওপার বাংলায় ভারতীয় মৎসজীবীদের ওপর নির্যাতন! দাবি মমতার (Mamata Banerjee)
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘কয়েকজনকে দেখলাম খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছেন। তাঁদের মারধরও করা হয়েছে জানতে পারলাম। তাঁদের নিয়ে গিয়ে হাতগুলো দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। মোটা লাঠি দিয়ে তাঁদের মারধর করা হয়’। মমতা দাবি করেন, বাংলাদেশ থেকে ফেরা মৎসজীবীদের কোমর থেকে পা পর্যন্ত চোট রয়েছে। পোশাক পরে থাকার কারণে সেটা দেখা যাচ্ছে না।
এপার বাংলার মৎসজীবীদের (Fishermen) ভবিষ্যতে আর জলসীমা পার না করার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আপনারা কখনও আমাদের সীমানার বাইরে যাবেন না। তাতে মাছ উঠলে উঠবে, আর না উঠলে উঠবে না। আগে জীবন। যদি জীবন থাকে তাহলে অনেক মাছ পাবেন। এই দু’মাস ধরে আপনারা জেলে ছিলেন, তাতে আপনাদের পরিবারের কষ্ট হয়নি? আপনাদের কষ্ট হয়নি? যাদের মারধর করা হয়েছে, তাঁদের কষ্ট হয়নি?’
আরও পড়ুনঃ নববর্ষেই জোর ধাক্কা! চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই ‘দুঃসংবাদ’ পেলেন কালীঘাটের কাকু
এদিন বাংলাদেশ থেকে ফেরত আসা ৯৫ জন মৎসজীবীকে ১০,০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেন মমতা (Mamata Banerjee)। সেই সঙ্গেই একজন মৎসজীবী ধরা পড়ার ভয়ে সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ হারান। এদিন তাঁর পরিবারের হাতে ২ লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘চোখে জল এসে যাওয়ার মতো অবস্থা। আমরা দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র। একে অপরকে ভালোবাসি। তবে আমাদের মৎসজীবীরা পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন’।
উল্লেখ্য, ৯৫ জন ভারতীয় মৎসজীবী যেমন বাংলাদেশে বন্দি ছিলেন, তেমনই ওপার বাংলার একটি ট্রলার জলসীমা পার করে ভারতে চলে এসেছিল। তাদের ফের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। মমতা (Mamata Banerjee) বলেন, ‘দুই দেশ মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ থাকুক আমি চাই। তবে ওদের ট্রলার আটকে থাকায় আমরা সম্পূর্ণ সাহায্য করলাম। অসুস্থদের চিকিৎসা করিয়ে ভালোভাবে রাখা হয়, যাতে দেশের কিংবা বাংলার কোনও বদনাম না হয়। আমরা সম্পূর্ণ সাহায্য করেছি’।