‘আমি তোমাদেরই লোক’, খুন্তি হাতে আদিবাসী গ্রামে আলু-বরবটির তারকারি রাঁধলেন মমতা ব্যানার্জি

বীরভূমের (birbhum) বোলপুরে প্রশাসনিক সভা ও পদযাত্রা শেষে ফেরার পথে হঠাৎ করেই আদিবাসী গ্রামে ঢুকে পড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) । সেখানে আদিবাসী মহিলাদের সাথে কথা বলতেও দেখা যায় তাকে। তাদের অভাব অভিযোগ মন দিয়ে শোনেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই এক চায়ের দোকানে দাঁড়ান তিনি।

IMG 20201230 155006

চায়ের দোকানীর কাছে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান কি রান্না হচ্ছে? তারপর নিজেই খুন্তি হাতে আলু বরবটির তরকারি রান্না করতে শুরু করেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই হঠাৎ সফরে ইতিমধ্যেই হইচই শুরু হয়েছে গ্রাম জুড়ে। মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে উচ্ছ্বসিত গ্রামবাসীরা।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাজ্যে প্রচারে এসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী যেভাবে আদিবাসী বাড়িতে খেয়ে ভোট রাজনীতি করছেন। তেমনই মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরও রাজনীতিরই অংশ। বীরভূমের আদিবাসী ভোট ব্যাংককে টার্গেট করেছে তৃণমূল। তাদের সমর্থন পেতে ‘আমি তোমাদেরই লোক’ বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বল্লভপুর থেকে ফের কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হন মুখ্যমন্ত্রী।

মঙ্গলবার পদযাত্রায় হাঁটলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের এই পদযাত্রায় তাৎপর্যপূর্ণভাবে চোখে পড়ে সংস্কৃতির জগতের মানুষের। মিছিলের প্রথম সারিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে ছিলেন অভিনেত্রী সাংসদ শতাব্দী রায়।

বোলপুরের লজ মোড় থেকে শুরু হয়ে ৪ কিলোমিটার এই পদযাত্রা শেষ হয়েছে জামবুনি মোড়ে। পুরো পথই ঢাকা ছিল বিশ্বকবির কাট আউটে। মিছিলে ছিলেন বাউল, কীর্তনীয়া ও ঢাকিরা। ঘোড়া নাচ, সাঁওতাল নাচে রোড শো হয়ে উঠেছিল সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের মঞ্চ। বাঙালির সংস্কৃতির অন্যতম অঙ্গ উলু এবং শঙ্খ বাজিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বরন করে নেওয়া হয়।

পুরো মিছিলেই নিজস্ব ভঙ্গিতেই পাওয়া গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মিছিলে দু লাখের মতো মানুষ যোগ দিয়েছেন বলে দাবি তৃণমূলের। এই পরিসংখ্যান সঠিক হোক বা না হোক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের একবার প্রমাণ করলেন রাজপথের রাজনীতিতে তার সমকক্ষ কেউ নেই। পাশাপাশি, নির্বাচন যত এগোবে ততই সংস্কৃতি হবে বাংলার রাজনীতির হাতিয়ার। তাও বোঝা যাচ্ছে স্পষ্টই।

 

 

 

 


সম্পর্কিত খবর