বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee) এই করোনাকালে সমাজের প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা অর্থাৎ পুলিশদের সম্মান জানাতে গত ৮ ই সেপ্টেম্বর দিনটিকে বেছে নিয়েছিলেন। গত ১ লা সেপ্টেম্বর এই দিন নির্ধারিত হলেও, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে পিছিয়ে ৮ ই সেপ্টেম্বর নির্ধারন করা হয়। এই দিন এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দেওয়া কথা রাখলেন।
কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী
কিছুদিন আগেই দেওয়া কথা মত মুখ্যমন্ত্রী এদিনের অনুষ্ঠানে করোনাকালে মৃত এমন ২০ জন করোনাযোদ্ধার পরিবারের হাতে কিছু পরিমাণ অর্থ এবং পরিবারের একজনকে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিলেন। এই অনুষ্ঠানে পুলিশদের সম্মান জানানোর পাশাপাশি, ২০ জন মৃত করোনাযোদ্ধার পরিবারের একজন করে চাকরি পেলেন।
দেওয়া হল অর্থ সাহায্য এবং চাকরি
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই মহামারির সময়ে রাজ্যবাসীকে সুরক্ষা দিতে গিয়ে ৭৬১৩ জন পুলিশকর্মী ও আধিকারিক অসুস্থ হয়েছেন। তবে ২২ জন কর্মী মারাও গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কলকাতা পুলিশের ৭ জন কর্মী, রাজ্য পুলিশের ৮ জন কর্মচারী, স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন ৪ জন এবং পার্সোনাল দফতরের সম্প্রতি মৃত আধিকারিকও রয়েছে। এনাদের সকলের পরিবারের হাতে এককালীন ১০ লক্ষ টাকা এবং পরিবার পিছু একজনকে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাঁদের ১ লক্ষ টাকা করেও দেওয়া হয়েছে।
সম্মানিত করল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও
এদিনের এই পুলিশ দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ছাড়াও এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল জাস্টিস মিশন’ও সম্মানিত করল সমাজের বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীকে। অফিসার, সিভিক ভলান্টিয়ার সব মিলিয়ে মোট ৮ জন পুলিশ কর্মী ও অফিসারকে দেওয়া পুরস্কারের মধ্যে ছিলেন- বারুইপুর পুলিশ জেলার মহিলা থানার আইসি তথা এএইচটিইউ-র দায়িত্বপ্রাপ্ত কাকলি ঘোষ কুণ্ডু, জয়নগর থানার আইসি অতনু সাঁতরা ও বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ৬ জন।
আশ্বাস দেওয়া হল বেতন বাড়ানোর
সেইসঙ্গে এদিনের অনুষ্ঠানে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ থানাকে ভেঙে রহড়া থানা, মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি থানাকে ভেঙে সাগরপাড়া থানা করার কথাও বলা হয়েছে। এছাড়া কলকাতা পুলিশের হোমগার্ডের বেতন ২০৪০ টাকা বাড়ানোর এবং সিভিক ভলেন্টিয়ার্স, ও আশা কর্মী এবং ভিলেজ পুলিশদের বেতন এবং বোনাস দেওয়ার কথাও বললেন মুখ্যমন্ত্রী।