বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘শিল্পই বাংলার লক্ষ্য এবং বিনিয়োগ আমাদের একমাত্র গন্তব্য’, এই বিশেষ মন্ত্র নিয়েই এদিন বাংলার বুকে আয়োজিত হল বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন। অতীতে বাংলায় শিল্পের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ না থাকার কারণে বিরোধীরা অধিকাংশ সময়ে রাজ্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে আসতো। ফলে তাদের উপযুক্ত জবাব দেওয়া এবং রাজ্যের শিল্পবান্ধব পরিবেশ বিশ্বের সামনে তুলে ধরাই এদিন প্রধান লক্ষ্য ছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে উপস্থিত বিশ্বের একাধিক প্রতিনিধিদের সামনে রাজ্যের পরিকাঠামো এদিন তুলে ধরেন তিনি এবং বাংলার অগ্রগতি যে আটটি প্রধান স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে, সে বিষয়েও মত প্রকাশ করেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের প্রথম স্তম্ভ হল রাজ্যের পরিকাঠামো। বর্তমানে বাংলা জুড়ে সর্বত্র পরিকাঠামো তৈরিতে মন দিয়েছে সরকার। বাংলায় তাজপুর বন্দর থেকে ডানকুনি-অমৃতসর ইস্টার্ন ফ্রেড করিডোর তৈরি হচ্ছে। আগামী বছরের মধ্যে জাতীয় গ্যাস পাইপ লাইনের সঙ্গে যুক্ত হবো আমরা। এছাড়াও জঙ্গলমহলে শিল্প পার্ক জঙ্গল সুন্দরী তৈরি হতে চলেছে এবং এই পদক্ষেপ গুলো ভবিষ্যতে বাংলায় শিল্পবান্ধব পরিবেশ গড়তে আমাদের সাহায্য করবে।”
দ্বিতীয় স্তম্ভ হিসেবে এদিন বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থাকে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। এক্ষেত্রে, তিনি কন্যাশ্রী-এর মত প্রকল্পগুলিকে এদিন বাণিজ্য সম্মেলনে সকলের সামনে তুলে ধরেন। এছাড়াও সামাজিক সুরক্ষা প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ, মহিলা সহ একাধিক সম্প্রদায়ের বিষয়ে আমরা চিন্তা করে চলেছি। বর্তমানে সামাজিক ক্ষেত্রে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের সরকার বহু প্রকল্পের ঘোষণা করেছে এবং ভবিষ্যতেও আনতে চলেছে।”
এছাড়াও বাণিজ্য সম্মেলন থেকে সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেম এবং ডিজিটাইজেশনের মতো বিষয়গুলি তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও বিরোধীদের ডাকা ‘বনধ’ প্রসঙ্গে এদিন তিনি বলেন, “আমরা নজর রাখব যাতে বাংলায় একটিও কর্মদিবস বেকার না যায়।” রাজ্যের বুকে হরতালের বিরুদ্ধতা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেবলমাত্র বিনিয়োগই হোক বাংলার একমাত্র লক্ষ্য।”