বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোট পর্ব মিটতেই সব রাজনৈতিক দলই পরবর্তী দফার লক্ষে নির্বাচনী প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। সেখান থেকে একে ওপরকে নানান ইস্যুতে আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছেন তারা। আর পঞ্চম দফার ভোটের মুখে সেই আক্রমণের মূল কেন্দ্র হয়ে উঠছে কোচবিহারের শীতলকুচির (Sitalkuchi) গুলি কাণ্ড। শাসকদল তৃণমূল ও প্রধান বিরোধী দল বিজেপি একে ওপরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে।
তৃণমূলের অভিযোগ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) চক্রান্তেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)। সেই মত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিও জানিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। অন্যদিকে শুরু থেকে গেরুয়া শিবিরের একটি অভিযোগ, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ‘বাহিনী ঘেরাও’ বক্তব্যই এদিনের হিংসার কারণ। এরই মাঝে শীতলকুচির গুলিকাণ্ড নিয়ে মুখ খুলে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর কথায় ‘বেশি বাড়াবাড়ি করলে সব জায়গায় শীতলকুচি হবে’। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের তরফে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে ‘ব্যান’ করার দাবি জানানো হয়েছে।
এমনকি দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য নিয়ে এদিন রানাঘাটের জনসভা থেকে সরব হন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন,’ আমি মনে করি যারা রাজনীতি করছেন, তাঁদের কথা বার্তা সেখা উচিৎ। বুঝে কথা বলার দরকার। রাজনীতি করা মানে গুলি করার অধিকার নয়।’ তিনি এও বলেন, ‘এটা রাজনীতি নয়, চার জন মানুষকে গুলি করে মেরে দিল।’ পরে তিনি এও বলেন ‘ওরা বলছে চার জনের জায়গায় আট জনকে গুলি করার দরকার ছিল। এদের কে কি বলবেন ? এদের মাথায় কিছু আছে! এরা খাঁয় না মাথায় দেয়!’
এখানেই থেমে না থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, ‘ একটা হাতে গেরুয়া ঝাণ্ডা, অন্য হাতে ডাণ্ডা, সঙ্গে আগে বিজেপির গুণ্ডা, রয়েছে বহিরাগত কিছু পাণ্ডা, যা নিয়ে ওরা বাংলাকে করবে ঠাণ্ডা। শীতলকুচি গুলিকাণ্ড নিয়ে কার্যত ভরপুর রাজনীতি শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের তরফে গুলি কাণ্ড নিয়ে এও প্রশ্ন করা হয় যে, মানুষ গুলো যে বাহিনীর উপর আক্রমণ করেছিল, তার যথাযথ প্রমাণ নেই, তাহলে কেন মারা হল তাঁদের ? এদিনের জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘গুলি কাণ্ড নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত হবেই’।