বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee ) বলেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার! তাই দুর্গাপুজার পর এবার বড়দিন নিয়েও কলকাতাবাসীর উন্মাদনাকে এক নতুন মাত্রা দিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বড়দিন উপলক্ষে আজ থেকেই কলকাতার অ্যালেন পার্কে শুরু হল ক্রিসমাস কার্নিভাল। যা চলবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর সোমবার পর্যন্ত।
বড়দিন উপলক্ষ্যেও বিরাট উপহার মমতার (Mamata Banerjee)
বৃহস্পতিবার বড়দিনের উৎসবের উদ্বোধন করতে এসে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। জানালেন বড়দিন উপলক্ষে আগামী ২৪ এবং ২৫ ডিসেম্বর অ্যালেন পার্কে কোন গাড়ি চলবে না। ওইদিন এই জায়গা ‘ওয়াকিং স্ট্রিটে’ পরিণত হবে বলে জানিয়েছেন মমতা। প্রসঙ্গত ২৫ ডিসেম্বরের আগে জাতীয় ছুটি ছিল। কিন্তু এবার কেন্দ্রীয় সরকার তা বাতিল করে দিয়েছে।
বড়দিনের ছুটি বাতিল করায় বড়দিনের উৎসব উদ্বোধনের মঞ্চ থেকেই এদিন কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ শানান মমতা (Mamata Banerjee)। বললেন, ‘২৫ ডিসেম্বর কেন্দ্র ছুটি বাতিল করলেও, আমাদের রাজ্যে আমরা ছুটি রাখি। তাই আমাদের রাজ্যে সেদিন ছুটি থাকবে।’ একই সাথে এদিন মমতা জানালেন তিনি মিডনাইট সেলিব্রেশনে যান।
মমতার কথায়, ‘২৪ ডিসেম্বরের রাতের প্রার্থনায় আমিও যোগদান করি। এর জন্য আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি’। এই দিনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে মমতা বললেন, ‘ক্রিসমাস মানেই আনন্দ উৎসব এবং শান্তির বার্তা।’ একইসাথে ক্রিসমাসের এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য কমিটিকে ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাকে নিমন্ত্রণ করায় আমি খুশি হয়েছি। আমি ভাগ্যবান আমি এই রাত উদযাপন করার সুযোগ পাই।’
আরও পড়ুন: কণ্ঠস্বর নিয়ে বিপাকে ‘কালীঘাটের কাকু’! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ঘুরবে মোড়?
দুর্গাপূজো কালীপুজোর পর এবার বড়দিন উপলক্ষ্যেও গান লিখেছেন মমতা। এদিনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান থেকেই মমতা বললেন, ‘প্রত্যেক উৎসবেই গান লিখি। তাই বড়দিনেও শান্তির জন্য গান লিখেছি, ছোট্ট করে একটা করেছি। সময় কম পেয়েছি, হাঁটতে হাঁটতে পরশুদিনই গান লিখে দিয়েছি।’ তাঁর লেখা এবং সুর করা এই গান গেয়েছেন সঙ্গীত শিল্পী শ্রীরাধা বন্দোপাধ্যায় এবং ইন্দ্রনীল সেন।
এদিনের এই উৎসব মঞ্চ থেকে শ্রোতাদের শোনানো হয় মুখ্যমন্ত্রীর গাওয়া সেই গান। পাশাপাশি এদিনের ক্রিসমাস কার্নিভালের সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী দার্জিলিং-এর বন্ধুদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেই সাথে তিনি জানান তাঁর বিষপের কথা শুনতে ভালো লাগে। তাই তিনি এখানে আসতেও পছন্দ করেন। একইসাথে তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলার মানুষ সব ধর্ম সংস্কৃতিকে ভালোবাসি। বাংলা সকলকে নিয়ে চলে। এটা একটা সুন্দর উৎসব। এটা আমাদের একার কৃতিত্ব নয় বাংলার মানুষের কৃতিত্ব।’