বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বঙ্গে নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোট শেষ হয়েছে। ষষ্ঠ দফার জন্য নির্বাচনী প্রচার তুঙ্গে। আগামী ২২ এপ্রিল ৪ জেলার ৪৩টি আসনে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন হতে চলেছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ১৭, নদিয়ার ৯, পূর্ব বর্ধমানের ৮ এবং উত্তর দিনাজপুরের ৯টি আসনে নির্বাচন হবে সেদিন। সেদিনের নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর আসনে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি মুকুল রায় এবং কৌশানী মুখোপাধ্যায় ভাগ্য নির্ধারণ হবে।
কোভিড-১৯ এর কারণে নির্বাচন কমিশন রাজ্যে প্রচারের সময়সূচি বেধে দিয়েছে। এখন থেকে বাকি দফা গুলোতে সন্ধ্যে সাতটার মধ্যে প্রচার শেষ করতে হবে। এবং নির্বাচনের ৭২ ঘণ্টা আগে থেকে সংশ্লিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্র গুলোতে প্রচার বন্ধ হয়ে যাবে। আগামীকাল সোমবার ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের প্রচার অভিযান শেষ হচ্ছে। আর তাঁর আগে বাংলার একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমে মুখোমুখি সাক্ষাৎকার দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ওই সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন যে, বিজেপি বাইরে থেকে এক লক্ষ বহিরাগত গুন্ডা নিয়ে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিজেপির এই বহিরাগতদের কারণে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় প্রতিটি ব্লকের হোটেল, লজ, বিয়ে বাড়ি সমস্ত কিছু বুক হয়ে গেছে। কোথাও বাড়ি ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। বিজেপির বহিরাগতরা সব যায়গায় লোক নিয়ে বসে আছে।
মুখ্যমন্ত্রী সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বহিরাগত না বলে ওনাদের অতিথি বলে সম্বোধন করেন। তিনি বলেন, ওনারা এখন যেমন বাংলায় আসছেন কোভিডের সময়েও যেন আসেন, হাসপাতাল গুলো যেন ঘুরে ঘুরে দেখেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উত্তর প্রদেশে করোনার অবস্থা ভয়াবহ। সেখানে রোজ ৩০ হাজার করে মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উত্তর প্রদেশ সরকার মৃতের সংখ্যায় কারচুপি করার জন্য শ্মশানের চারিদিকে টিন দিয়ে প্রাচীর তৈরি করছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সবার দ্বারা সবকিছু সামলানো সম্ভব হয়ে ওঠে না। তিনি বলেন আমার রাজ্যে আমি চেষ্টা করব সামলাতে। ঝড় সবসময় সবাই সামলাতে পারে না। আমাদের এখানে আমফানের সময় আমরা সবটা সামলাতে পারিনি। কোথাও জলের খুঁটি উপড়ে গেছে, কোথাও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে। বাড়ি ভেঙে গেছে। অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা সামলেছে মানে, যেই দুর্যোগটা হতে পারত, ১৯ লক্ষ মানুষ মারা যেতে পারত, সেটা আমরা সামলে দিয়েছি। আমরা মানুষগুলোকে তুলে নিয়ে এসেছি। এটাই হচ্ছে নিয়ম, আপনাকে প্ল্যানিং করতে হবে যত বড় বিপর্যয় ততবড় যেন না হয়, সেটাকে সামলাতে হবে। সেই পরিস্থিতি সামলানোর জন্য আমরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করেছি।