‘কথা দিচ্ছি নিজে করব’! ‘খেয়ে দেখুন না স্বাদ কেমন’, ‘মোদীবাবু’কে কী খাওয়ার আমন্ত্রণ জানালেন মমতা?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোটের আবহে ক্রমেই চড়ছে আক্রমণের পারদ। কখনও তৃণমূলকে নিশানা করছে বিজেপি। কখনও আবার গেরুয়া শিবিরকে ফালাফালা আক্রমণ করছে তৃণমূল। এর মাঝেই প্রধানমন্ত্রীকে নিজে হাতে রেঁধে খাওয়ানোর কথা বললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ভোট প্রচারে বেরিয়ে পিএম মোদীকে (Narendra Modi) মাছ খাওয়ার আমন্ত্রণ জানালেন তৃণমূল নেত্রী।

নির্বাচনী প্রচারে অগুনতিবার বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বহুবার তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে, মানুষ কী পরবে, কী খাবে সেটাও মোদী সরকার ঠিক করে দিতে চাইছে। বিজেপি মাছ (Fish) খাওয়া বন্ধ করে দিতে চায় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। সোমবার ফের একবার মমতার মুখে শোনা গেল একথা। সেই সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রীকে মাছ খাওয়ার জন্য আমন্ত্রণও জানালেন তিনি।

   

তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘এখন আবার বলে বেড়াচ্ছেন মাছ খাবেন না। মাছ কেন খান? মাংস খাবেন না, ডিম খাবেন না। তাহলে কি ব্যাঙের ছাতা খাবে? তাহলে সেটা জোগাড় করে দিতে বলুন’। মমতা বলেন, ‘যার যা ইচ্ছা হয় সে সেটা খাবে। যে নিরামিষ ভালোবাসে, সে নিরামিষ খাবে। যে আমিষ ভালোবাসে, সে আমিষ খাবে। এটা আমাদের সবার দেশ’।

আরও পড়ুনঃ মহাকাশ নিয়ে গবেষণার ইচ্ছা তৃণমূলের দেবাংশুর! বিয়েটা করছেন কবে? খুল্লামখুল্লা TMC প্রার্থী

এরপর সভা মঞ্চে দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, এদেশের কেউ বিরিয়ানি খেতে ভালোবাসে, কেউ আবার পটল চিংড়ি ভালোবাসে। কারোর পছন্দ ঝিঙে চিংড়ি, তো কেউ আবার চিংড়ি মালাইকারি বলতে অজ্ঞান! একথা বলার পরেই প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে মমতা বলেন, ‘মোদীবাবু একটু খেয়ে দেখুন না স্বাদটা কেমন! একটু খাবেন? তৈরি করে দেব? কথা দিচ্ছি, কাউকে দিয়ে করাব না। নিজে করব। আমি ছোটবেলা থেকে রান্না করে এসেছি, আমি রান্না জানি’।

Mamata Banerjee

এরপর আরও একধাপ এগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি তাঁকে ধোকলা খেতে বলেন তাহলে তিনি তাতে রাজি। এর আগেও ধোকলা খেয়েছেন বলে জানান তিনি। মমতার কথায়, ‘আমি ভালোবেসে খাব। আমার কাছে জাতপাত বলে কিছু নেই’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর