বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মমতা ব্যানার্জিকে (Mamata Banerjee) ক্লিনচিট দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। নস্মাৎ হয়ে গেল বিরোধীদের অভিযোগ। বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, কমিশনের নিষেধাজ্ঞা জারির সময় ধর্নায় বসে কোনরকম নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করেননি মুখ্যমন্ত্রী।
শীতলকুচীর ঘটনায় তোলপাড় হয়ে উঠছে রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী সহ কোন রাজনৈতিক নেতাকেই ৭২ ঘণ্টার জন্য সেখানে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। পরবর্তীতে বিরোধীদের অভিযোগ ছিল- মমতা ব্যানার্জি ভোট প্রচারে গিয়ে জনগণকে উস্কে দিচ্ছেন। কখনও বলছেন সংখ্যালঘু ভোট যেন ভাগ না হয়, আবার কখনও বলছেন নির্বাচনের দিন সেনাবাহিনীকে একদল ঘিরে ধরে অন্য দল ভোট দিতে যাও।
মুখ্যমন্ত্রীর এইসকল বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে তাঁকে শোকজ করেছিল নির্বাচন কমিশন। মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য সময়সীমাও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূলনেত্রীর থেকে মনোপুত উত্তর না পাওয়ায়, তাঁকে ২৪ ঘণ্টা নির্বাচনী প্রচার বন্ধ রাখার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন।
কমিশনের এই নির্দেশের প্রতিবাদে মঙ্গলবার দিন গান্ধীমূর্তির নীচে ধর্ণায় বসেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি। সেখানে ৩ ঘণ্টা ধরে ধর্নার মাঝে তুলির টানে নানারকম ছবিও এঁকেছিলেন তিনি। কিন্তু সংযুক্ত মোর্চার সিপিআইএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী অভিযোগ করেছিলেন, কমিশনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বসে মূলত ভোট প্রচার করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
পয়লা বৈশাখের রাতেই মুখ্যমন্ত্রীর দিকে ওঠা এই অভিযোগ সম্পূর্ণ রূপে নস্মাৎ করে দিলেন শেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। তিনি জানালেন, নির্বাচন কমিশনের আদেশ অমান্য করেননি মমতা ব্যানার্জি। ধর্নায় বসে তিনি কোনরকম নিয়ম ভঙ্গ করেননি।