মুখ্যমন্ত্রী পাশে দাঁড়ানোয় বেজায় খুশি অনুব্রত, বললেন ‘দিদি জানে আমি কোনও দোষ করিনি”

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিগত কয়েক দিন ধরে রাজ্য জুড়ে একটাই প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছিলো।অনুব্রত মণ্ডলের অবস্থাও কি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) মতোই হবে? উত্তরটা পাওয়া গিয়েছল গত কালই। রবিবার বেহালা থেকে অনুব্রতর গ্রেফতারের বিষয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ কেষ্টর পাশে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। আর দলনেত্রীর এই বার্তা পেয়েই আপ্লুত অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। আত্মবিশ্বাসের সুরে নিজের আইনজীবীকে বললেন, ‘জানতাম দিদি পাশে থাকবেই।’

এই মুহুর্তে নিজাম প্যালেসে সিবিআই হেফাজতই ঠিকানা অনুব্রত মণ্ডলের। সোমবার সেখানে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন আইনজীবী অর্নিবাণ গুহ ঠাকুরতা। বেশ অনেকক্ষণই কথা বলেন দুজনে। এরপর বাইরে বেরিয়ে আইনজীবী জানান, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা অনেকটাই চাঙ্গা করে দিয়েছে অনুব্রতকে। এদিন বীরভূমের জেলা সভাপতি তাঁর আইনজীবীর কাছে দাবি করেন, তাঁকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ। এরই সঙ্গে তিনি বলেন, তিনি জানতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পাশে থাকবেনই। ‘দিদি’কে পাশে পেয়ে বেজায় খুশি অনুব্রত।

এখন প্রশ্ন হলো পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডলের মধ্যে এই বৈষম্য মূলক আচরণ কেন করেন দলনেত্রী? উঠে আসছে একাধিক কারণ।

১) পার্থর চেয়ে অনুব্রত অনেকটাই ‘মূল্যবান’ : বীরভূমের সংগঠনকে টিকিয়ে রাখতে গেলে কেষ্টকে দরকার তা মমতা ভালোই জানেন। অনুব্রত যেভাবে বীরভূমের সংগঠনকে নিয়ন্ত্রণ করত তা এককথায় অনবদ্য। এককথায় অনুব্রতর ‘উইকেটকে হারাতে চান না তৃণমূল সুপ্রিমো।’

২) অভিষেক ঘনিষ্ঠতা : তৃণমূলের কর্মসূচী এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যে অভিষেকের বনিবনা মোটেই ছিল না তা সকলেই জানেন। তাই পার্থকে দল ছুঁড়ে ফেলে দিলেও অনুব্রতকে আগলে রাখার চেষ্টার পিছনে অভিষেকের অবদান আছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।

৩) কায়লা পাচারের যোগসূত্র : কয়লা পাচার মামলায় সিবিআই একাধিকবার তলব করেছে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে। গরু পাচারের পাশাপাশি এই কয়লা পাচারেও অনুব্রত যোগ আছে বলেই মনে করেন অনেকে। সম্প্রতি অনুব্রতর গড়ে ঘটে যাওয়া বগটুই হত্যাকাণ্ডের পিছনে এই কয়লা পাচার চক্রই ছিল বলে অনেকে সন্দেহ করেন। তাই কান টানলে মাথা আসার মতো অনুব্রত-অভিষেক যোগসূত্রও সামনে এসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে তৃণমূলের শিবিরে। এমনই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তাই অভিষেককে বাঁচাতেই কি অনুব্রতকে ‘সেফ গার্ড’ মমতার? উঠছে প্রশ্ন।

ad

Sudipto

সম্পর্কিত খবর