বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চীন (china) থেকে আগত করোনাভাইরাস (corona virus) সারা বিশ্বকে তোলপাড় করে দিয়েছে। যার জেরে মৃত্যু হয়েছে অনেকে। আবার আক্রান্তও অনেকে। পাশাপাশি চলছে সরকারঘোষিত লকডাউন (lockdown)। এই অসময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। লকডাউনের মধ্যে বাংলায় চটকলগুলি চালু করার জন্য এপ্রিল মাসের গোড়া থেকে রাজ্যকে চিঠি পাঠাচ্ছিল কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রক। বুধবার সকালে দিল্লি থেকে তৃতীয় চিঠিটি আসে নবান্নে। তারপর বিকেলের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগামী ২০ তারিখ থেকে রাজ্যের সমস্ত জুট মিলে উৎপাদন শুরু হবে। তবে লকডাউনের নিয়ম মেনে কাজ হবে জুটমিলগুলিতে।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “কেন্দ্র আমাদের চিঠি পাঠিয়ে নির্দিষ্ট ১৮টি জুটমিল (Jutemill) খোলার কথা বলেছিল। কিন্তু আমরা ডিসক্রিমিনেট করতে পারি না। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ১৫ শতাংশ শ্রমিক-কর্মী নিয়ে, লকডাউনের নিয়ম মেনে রাজ্যের সমস্ত জুটমিলগুলি চালু করা হবে।” যেহেতু রাজ্যের সব জুটমিলই ঘিঞ্জি এলাকায় অবস্থিত তাই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সমস্ত কর্মীর মেডিক্যাল চেকআপ হবে নিয়মিত। এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, মাইক্রোপ্ল্যানিং অর্থাৎ স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতেও কি জুটমিল চালানো হবে? জবাবে তিনি বলেন, “সেটা মুখ্যসচিব দেখে নেবেন।”
লকডাউনের মধ্যে কী কী খোলা থাকবে তার একটা গাইডলাইন কেন্দ্রীয় সরকার বুধবারই সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে পাঠিয়েছে। তার ভিত্তিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সেই গাইডলাইনের আওতায় থাকা যে প্রতিষ্ঠান উৎপাদন শুরু করতে চায় তারা মুখ্যসচিবের কাছে আবেদন করতে পারেন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় মুশকিল হল শ্রমিক-কর্মচারীদের যাতায়াত। অর্থাৎ হুগলির যে শ্রমিক হাওড়ার জুটমিল বা অন্য কারখানায় কাজ করেন বা হাওড়ার যে শ্রমিক উত্তর চব্বিশ পরগনার কারখানায় কাজ করেন তাঁরা কর্মস্থলে পৌঁছবেন কী ভাবে? গণপরিবহণ তো বন্ধ। মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) এদিন জানিয়েছেন, আপতত স্থানীয় শ্রমিকদের নিয়েই উৎপাদন চালু হবে।
কেন জুটমিল খোলার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার ( State Government) তাও ব্যাখ্যা করেন মমতা। তিনি বলেন, “ইতিমধ্যেই দেশে রবিশস্য কাটা শুরু করে দিয়েছেন কৃষকরা। এখন অনেক চটের বস্তা দরকার। তেলেঙ্গানা এবং পাঞ্জাব সরকার আমাদের কাছে পাটের বস্তা চেয়েছে। রাজ্যেও প্রয়োজন।” তাঁর কথায়, “এখন যদি উৎপাদন শুরু না করা যায় তাহলে প্লাস্টিক ঢুকে পড়বে।তখন আরএক বিপদ হবে।”