মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আমাদের স্যান্টা, উনি বাংলার মানুষকে সুখ ও শান্তি দিয়েছেনঃ দেবাংশু

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আমাদের ক্রিসমাসের সান্তা বুড়ো হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)- এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূল যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য (debangshu bhattacharya)। বড়দিনের শুভদিনে মুখ্যমন্ত্রীকে এমন ভাবেই বড় করে দেখালেন দেবাংশু ভট্টাচার্য।

বরাবরই দেখা গিয়েছে মানুষের দুঃখে কেঁদে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী, থাকেন সর্বদা মাটির কাছাকাছি। বঙ্গবাসীর মুখে দুবেলা দুমুঠো অন্ন তুলে দেওয়ার জন্য সর্বদাই নানারকমের প্রকল্পের সূচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সর্বদাই মানুষের চিন্তায় মগ্ন তিনি। এমনকি তৃতীয়বার বাংলার ক্ষমতায় আসার পরই বাংলার মহিলাদের স্বনির্ভর করতে চালু করলেন ‘লক্ষীর ভান্ডার’ প্রকল্প। সেখানে সাধারণ ক্যাটাগরির মহিলারা প্রতি মাসে পাচ্ছেন ৫০০ টাকা করে এবং তপশিলি জাতি উপজাতির মহিলারা মাসে পাচ্ছেন ১০০০ টাকা করে।

এই সবের মধ্যে বড়দিনে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে এক মন্তব্য করলেন তৃণমূল যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে ক্রিসমাসের সান্তা বুড়ো বলে দাবি করলেন তিনি। স্যোশাল মিডিয়ায় দেবাংশু লেখেন, ‘সারা বছর যিনি মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিয়েছেন, বিনামূল্যে শিক্ষার আলো জ্বালিয়েছেন, মাথা উঁচু করে বাঁচার আশ্রয় দিয়েছেন, নিজস্ব স্বাস্থ্যের অধিকার দিয়েছেন জনসাধারণকে, লক্ষ লক্ষ মানুষের হাতে শান্তি ও সুখের ভান্ডার তুলে দিয়েছেন যিনি, তিনিই আমাদের সান্তা ক্লজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’।

অন্যদিকে বড়দিনের উৎসবে মাতোয়ারা মানুষজনের জন্য গতকাল বিকেল থেকেই ‘ওয়ান ওয়ে ওয়াকিং স্ট্রিট’ করে দেওয়া হয়েছিল পার্ক স্ট্রিটকে। যাতে কোন সমস্যা না হয়, সেজন্য মোতায়েন করা হয়েছিল সাড়ে ৩ হাজার পুলিশ। ১৫ টি পুলিশি বুথ ছিল ছিল ১১ টি হাই রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াডও। ছিলেন ২৫ জন মহিলা পুলিশ কর্মীও। ১১ টি ওয়াচ টাওয়ার থেকে নজরদারি করার পাশাপাশি চলছিল ড্রোনের সাহায্যে নজরদারিও।

বর্তমান সময়ে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। দেশে এই মুহূর্তে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০-র কাছাকাছি। এই পরিস্থিতিতে যখন আবার নাইট কারফিউ জারি করার কথা বলা হচ্ছে, তখন কলকাতার এই ভিড় সবকিছুকে ছাপিয়ে গেল।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর