পার্থর মহিলা যোগ মেনে নিতে পারছেন না দলনেত্রীও! দাবি সূত্রের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : অসহায় হয়ে পড়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। বিপদের দিনে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)। আদালত কী বলে, সেজন্য অপেক্ষা করতে বলেছেন তৃণমূল নেত্রী। আদালতের নির্দেশ না দেখে পার্থকে সরানো উচিত নয় বলে মনে করেন মমতাও। তবে সূত্রের খবর পার্থর মহিলা-সঙ্গ নিয়ে অসন্তোষ গোপন করেননি তৃণমূল নেত্রী।

ইতিমধ্যেই পার্থ ঘনিষ্ঠ হিসাবে প্রকাশ্যে এসেছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ও অধ্যাপিকা মোনালিসা দাসের নাম। অর্পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ২০ কোটি নগদ টাকা আর শান্তিনিকেতনে মোনালিসার ১০ টি বাড়ির হদিশ মিলেছে। এই সবেরই উৎসে পৌঁছে যেতে চাইছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

তবে সব থেকে বড় প্রশ্ন, যেটি নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে তা হলো প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে এই দুই মহিলার পরিচয় বা ‘ঘনিষ্ঠতা’ কীভাবে? জানা যাচ্ছে, টলিগঞ্জে অর্পিতার বিলাসবহুল আবাসনে লালবাতিতে রাতে কেউ আসা যাওয়া করতেন। তেমনটাই জানাচ্ছেন ওই আবাসনের অন্যান্য আবাসিকরাও। তবে কে আসতেন, তা তাঁরা বলতে পারেন নি।

বিশেষ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, পার্থ ইস্যুতে এখনও পর্যন্ত কিছুটা নরম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, যে কোনও মানুষের বিপদ হলে তাঁর পাশে দাঁড়াতে হয়। এক্ষেত্রে কিছুটা সময় দেওয়ার কথাও বলছেন মুখ্যমন্ত্রী। আদালত এ বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে বাংলার শাসক দল। সাংবাদিক বৈঠক করেই বিষয়টি জানিয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। জানা যাচ্ছে, সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষ, ফিরহাদ হাকিমরা যে কথা বলেছেন, সেটিই দলনেত্রীর বক্তব্য।

পার্থ চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকেও প্রবীণ রাজনীতিবিদ তিনি। এরকম পরিস্থিতি দল হঠাৎ করে কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না। সেক্ষেত্রে একটা রাজনৈতিক ভুল বার্তাও যাবে দলের কর্মী সমর্থকদের কাছে। সূত্রের খবর, সেই কারনেই নেত্রী আপাতত ধীরে চলো নীতি নিয়েছেন। এবিষয়টিতে আরও কিছুটা পর্যবেক্ষণ করতে চাইছেন দলের সুপ্রীমো। তৃণমূল নেতৃত্ব বলছে, ‘দীর্ঘসূত্রিতা নয়, আমরা চাই এর সঠিক বিচার হোক।’


Sudipto

সম্পর্কিত খবর