বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতার আরজিকর কান্ডের পর এবার কথা রাখলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গত ৯ আগস্ট তরুণী চিকিৎসকের নির্মম ধর্ষণ-হত্যা কান্ডের পর রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছিল জুনিয়ার চিকিৎসকদের আন্দোলন। সেসময় তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে সারা রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে কর্মবিরতি ঘোষণা করেছিলেন তাঁরা।
RG Kar কান্ডের পর বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee)
এই পরিস্থিতিতে ভেঙে পড়তে শুরু করে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। তখনই আসরে নামেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ছাত্রদের সঙ্গে সামনাসামনি আলোচনায় বসে ছিলেন তিনি। গত ৯ সেপ্টেম্বর আরজিকরের আন্দোলনকারীদের মুখ্যমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন সরকারি হাসপাতাল গুলির রোগী কল্যাণ সমিতিতে হাসপাতালের সুপার বা অধ্যক্ষই চেয়ারম্যান হবেন।
প্রসঙ্গত এতদিন হাসপাতালগুলির রোগী কল্যাণ সমিতির মাথায় থাকতেন জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু আরজি কর কান্ডের পর পুরনো রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়া হবে বলে কথা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসাথে তিনি জানিয়েছিলেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হবেন সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল।
আরও পড়ুন: ‘দল আমি আর বক্সিদাই দেখব’! নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বের মাঝেই বড় মন্তব্য মমতার
তিনি জানিয়েছিলেন রোগী কল্যাণ সমিতির শীর্ষ পদে কোন রাজনৈতিক নেতা থাকবেন না। সে সময় মৌখিক ঘোষণা করলেও এবার তা প্রতিষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে। তাঁর দপ্তর থেকেই এদিন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হল রাজনৈতিক নেতারা এখন রোগী কল্যাণ সমিতিতে শুধু জনপ্রতিনিধি হয়েই থাকবেন।
কারা পেলেন দায়িত্ব?
সে ক্ষেত্রে সরকার হাসপাতাল গুলির দায়িত্ব বণ্টনে কিছু রদবদল করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিগত কয়েক মাসে যে আরজিকর হাসপাতাল নিয়ে গোটা রাজ্য তোলপাড় সেখানেই রোগী কল্যাণ সমিতিতে শান্তনু সেনের পরিবর্তে আনা হলো কলকাতার দেপুটি মেয়র তিন ঘোষকে। অন্যদিকে মানিকতলার নতুন বিধায়ক তথাএকদা মমতার সহপাঠী সুপ্তি পান্ডেকে এনআরএসের রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য করা হয়েছে। অন্যদিকে অরূপ বিশ্বাস যে এসএসকেএম হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ছিলেন। এদিন তাঁকেই সেই হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য করা হয়েছে।