বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনের আবহে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জেলায় ঘুরে সভা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার যেমন আরামবাগ এবং হুগলির তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে দু’টি জনসভা করেন তিনি। আরামবাগে এবার অপরূপা পোদ্দারকে ছেড়ে মিতালি বাগকে (Mitali Bag) টিকিট দিয়েছে জোড়াফুল শিবির। এবার তাঁকেই ‘নিম্নবর্ণে’র বলে বিপাকে পড়লেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ভিডিও শেয়ার করে তোপ দাগলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান তথা পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য (Amit Malviya)।
বুধবার মিতালির হাত ধরে তাঁর পরিচয় করিয়ে দিতে দেখা যায় মমতাকে। তিনি বলেন, ‘মিতালি বাগদি সম্প্রদায়ের মেয়ে। উচ্চশিক্ষিত। অনেকে বলে থাকেন, বাগদি, বাউড়িদের টিকিট দেওয়া হয় না। আমরা ওঁকে নির্বাচনে দাঁড় করিয়ে সেটা ভুল প্রমাণ করে দিয়েছি’। গতকালের সভায় দাঁড়িয়ে আরও বেশ কিছু কথা বলেন মমতা, আর তা নিয়েই আপত্তি করেছেন অমিত।
In the 21st century, Bengal CM’s attitude harks back to era of medieval barbarism, evident in her denigration of the Bauri and Bagdi communities as ‘lower caste’. Bharat, a global force, boasts of a Tribal woman President and an OBC Prime Minister, but Mamata Banerjee’s plunge to… pic.twitter.com/jXK3znGwv1
— Amit Malviya (मोदी का परिवार) (@amitmalviya) May 8, 2024
বুধবার সন্ধ্যায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাষণের কয়েক সেকেন্ডের একটি ক্লিপ শেয়ার করেন বিজেপি (BJP) নেতা। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘আজকে আমরা প্রমাণ করে দিয়েছি, বাগদি, বাউড়ি, ভূমিজ সমাজ- সমস্ত নিম্নবর্ণের লোকেরাও প্রার্থী হতে পারে। আবার বর্ধমানে ডক্টর শর্মিলা সরকার, নিম্নবর্ণ মেয়ে’।
আরও পড়ুনঃ সন্দেশখালি অতীত! বাজারে আসছে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্টিং ভিডিয়ো, বিপাকে প্রাক্তন জাস্টিস?
মমতার ভাষণের এইটুকু অংশের ভিডিও শেয়ার করেই তোপ দেগেছেন অমিত। বিজেপি নেতা লেখেন, ‘একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর মনোভাব মধ্যযুগীয় বর্বরতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। বাগদি, বাউড়ি সম্প্রদায়কে তাঁর ‘নিম্নবর্ণ’ বলার মধ্যেই সেটা স্পষ্ট। ভারত একটি বৈশ্বিক শক্তি, একজন উপজাতি মহিলা দেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী ওবিসি সম্প্রদায়ের। কিন্তু এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক লাভের জন্য জাতপাতভিত্তিক রাজনীতি করছেন, জঘন্য!’
এখানেই না থেমে অমিত লেখেন, ‘ভারতকে গর্বিত করেছেন, এমন বহু ক্ষমতাহীন সম্প্রদায়ের নেতা রয়েছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নিজের দলের প্রার্থীকেই ‘নিম্নবর্ণে’র বলছেন। অথচ তাঁদের ব্যক্তিগত এবং পেশাগত কৃতিত্বকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করেছেন তিনি। এখান থেকে প্রান্তিক সম্প্রদায়ের মানুষদের প্রতি তাঁর মনোভাব আন্দাজ করা যায়। পশ্চিমবঙ্গে ওই একই সম্প্রদায়ের একটি বিপুল সংখ্যক মানুষ রয়েছে, সেই বিষয়টিও হয়তো তিনি উপেক্ষা করতে চান! অবিরাম অপমান করে চলেছে। এই বিষয়টি কেউ যেন না ভুলে যায় এবং ওনার এই দম্ভকে যেন ক্ষমা না করা হয়!’।