বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই বিরাট চমক! নিজের লেখা তিনটি বই প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হাত ধরেই শুভ সূচনা হয়ে গিয়েছে, ৪৮ তম কলকাতা বইমেলার। এবছর বইমেলা চলবে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এবারের মেলায় থিম রাখা হয়েছে ‘কান্ট্রি জার্মানি’। গতকাল উদ্বোধনের দিনেই বাংলার বইপ্রেমীদের বিরাট চমক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, এদিনের অনুষ্ঠান থেকে নিজের লেখা তিন-তিনটি বই প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনটি বইয়ের নাম হল, লিপিবদ্ধ,স্যালুট ২ এবং বাংলায় নির্বাচন ও আমরা।

নিজের লেখা তিনটি বই প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)

মঙ্গলবার সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কের বই মেলা প্রাঙ্গণে এই মেলার উদ্বোধন করার সময় মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) কথায় উঠে এল ডিজিটাল মাধ্যমের কথা। মমতা বললেন, ডিজিটালের বাড়বাড়ন্তের মধ্যেও এত মানুষ বই পড়ছেন। বই আমাদের প্রেরণা এবং দিশা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘বই ঘর সাজানোর জিনিস নয় হৃদয় সাজানোর জিনিস।’

তিনি চান আরও মানুষ অনেক বেশি করে বই পড়ুক। কলকাতা বইমেলা আরও বড় হোক। একইসাথে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বললেন, ‘কলকাতা বইমেলা আমাদের সকলের গর্ব। দেশের সেরা’। বিশ্বের নিরিখে এই মেলাকে আরও বড় করে তুলতে চান তিনি। বইমেলার থিম যেহেতু কান্ট্রি জার্মানি। তাই উদ্বোধনের দিন সেই সূত্রেই মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) কথায় উঠে আসল নেতাজির প্রসঙ্গ। তিনি মনে করিয়ে দিলেন জার্মানির সঙ্গে তাঁর তথা সারা বাংলার যোগসূত্র কতটা গভীর।

আরও পড়ুন: রেশন গ্রাহকরা ন্যায্য ও গুণমানের খাদ্য পাচ্ছেন তো? অ্যাকশন শুরু খাদ্য দফতরের

অনুষ্ঠানে উপস্থিত জার্মানির একাধিক প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বললেন, ‘কলকাতা বইমেলা বিশ্বসেরা। আমি এটাকে আরও বড় পরিসরে দেখতে চাই। জার্মানির সঙ্গে তো ভারতের তথা বাংলার গভীর যোগসূত্র রয়েছে। কারণ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস। তাঁর মেয়ে ওইখানেই থাকেন। তাঁর সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছে।’ একইসাথে এদিন আরও একবার মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন দেশের স্বাধীনতার জন্য নেতাজি কিভাবে লড়াই করেছিলেন সেকথাও।

গতকালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আর্জেন্টিনার প্রতিনিধিরাও। তাঁদের সাথে কথা প্রসঙ্গে মমতার মন্তব্যে উঠে আসে ফুটবলের প্রসঙ্গ। আর্জেন্টিনার প্রতিনিধিদের তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন বাংলা কতটা ফুটবল পাগল। একই সাথে মমতা এদিন জানিয়েছেন তিনি যখন শহরের বিভিন্ন রাস্তার রং নীল সাদা করেছিলেন তখন অনেকেই ভেবেছিলেন তিনি আর্জেন্টিনাকে অনুসরণ করছেন। কিন্তু তিনি মনে করেন রং সবার জন্য। এতে কোন ভেদাভেদ নেই। তবে সব রং সবার পছন্দ হয় না, এই যা। তবে রংয়ের কোনো ভেদাভেদ থাকতে পারে না বলেই মনে করেন তিনি।