এবার মেজাজ হারিয়ে সাংবাদিককে মারতে উদ্যত হলেন মমতা, ভাইরাল হল ভিডিও

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ এবারের নির্বাচেন দ্বিতীয় দফার নজরকাড়া কেন্দ্র ছিল নন্দীগ্রাম (Nandigram)। দিনভোর সেখান থেকে উঠে এসেছে রাজনৈতিক হিংসার খবর। কোথাও ‘ছাপ্পা’ দেওয়ার অভিযোগ, তো কোথাও পোলিং এজেন্টকে বুথে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ। দুপুর পর্যন্ত একরকম এসবই ছিল চর্চার বিষয়। তবে নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ার ভাড়া বাড়ি থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেরোনোর পরই শিরোনাম ছেয়ে যায় বয়াল (Boyal) কাণ্ডে।

বয়ালের ৭ নম্বর বুথে প্রায় আড়াই ঘণ্টারও অধিক সময় আটকে ছিলেন মমতা। বাইরে তৃণমূল-বিজেপি ( TMC & BJP) সমর্থকদের খণ্ডযুদ্ধের পরিস্থিতি। ভিতরে আটকে থেকে তিনি রাজ্যপালকে (Jagadeep Dhankar) ফোন করে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের দাবি জানান। টুইটে মুখ্যমন্ত্রীর আর্জিতে ধনকড় ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেওয়ার পরপরই, নন্দীগ্রামের নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী হাজির হয়। সেখানে গিয়ে আইপিএস অফিসার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠিকে মমতার ক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়েছে।

বয়ালে মেজাজ হারিয়ে সাংবাদিককে মারতে গেলেন মমতা

পরে মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamata Banerjee) শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে সেখান থেকে চলে যাওয়ার আবেদন করেন তিনি। তখন ৭ নম্বর বুথ থেকে বেরিয়ে মমতা অভিযোগ করেন ‘বিজেপি ভোট লুঠ করছে।’ তদুপরি তিনি এও বলেন, ‘নন্দীগ্রামে তৃণমূল ভোট পেতে চলেছে ৯০ শতাংশ।’ পরে অবশ্য গণতন্ত্রের উৎসবে মানুষের ভোট দিতে না পারা নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে একহাত নেন মমতা। কমিশনকে হাতজোড় করে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনেরও আর্জি জানান।

এসবের মধ্যেই মেজাজ হারিয়ে এক সাংবাদিককে মারতে উদ্যত হন মমতা। যার কারণে ফের সংবাদের শিরোনামে উঠে আসেন তিনি। বিজেপিও সুযোগ হাতছাড়া করেনি। মুখ্যমন্ত্রীর সেই মারমূখী ভিডিও শেয়ার হয়ে যায় গেরুয়া শিবিরের টুইটার হ্যান্ডেলে। যারপর রীতিমত ভাইরাল (Viral Video) হয়ে যায় সাংবাদিককে মারমূখী হয়ে ‘এক দেব…’ বলা মমতার সেই মন্তব্য। তাতে বিজেপিও টিপ্পনি করতে ছাড়েনি। ভিডিও ক্যাশনেই সেই টিপ্পনি লক্ষ করা যায়। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে ‘হতাশ থেকেই কি এই রাগ?’


সম্পর্কিত খবর