বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলার নয়া রাজ্যপাল হিসেবে এদিন রাজভবনে শপথ নিলেন সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। যদিও শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানেও বাদ যায়নি রাজনৈতিক বিতর্ক। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) গরহাজির প্রসঙ্গ এবং পরবর্তীতে রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্য তাঁর কটাক্ষকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে চড়ছে পারদ। তবে এর মাঝে সিপিএমের (Cpim) বর্ষীয়ান নেতা বিমান বসুর (Biman Basu) প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সৌজন্যতা ইতিমধ্যে নজর কেড়েছে সকলের। বিধানসভায় বামেদের কোন বিধায়ক না থাকলেও বিমানবাবুকে দেখতেই এদিন মমতা যা করলেন, তাতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় মেতেছে বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে একাধিক মহল।
উল্লেখ্য, এদিন বাংলার নয়া রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, একাধিক বিধায়ক, মন্ত্রী এবং অন্যান্য ব্যক্তিত্বরা। নিয়ম অনুযায়ী, দ্বিতীয় সারিতে বসার জায়গা পেয়েছিলেন সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা বিমান বসু। তবে পরবর্তীতে বাম নেতাকে দেখতে পেয়েই এগিয়ে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপরই বাম নেতাকে সামনের সারিতে এগিয়ে নিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজভবনের এই সৌজন্যতা ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সর্বত্র।
প্রসঙ্গত, বিগত ১০ বছরের ওপর সময় ধরে বাংলায় শাসন করছে তৃণমূল কংগ্রেস। গত নির্বাচনে একটিও আসনে জিততে না পারায় বর্তমানে বিধানসভায় বামেদের কোন প্রতিনিধি নেই। অথচ তা সত্বেও এদিন বিমান বসুকে দেখতেই শুভেচ্ছা বিনিময় করতে এগিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একইসঙ্গে এই বিষয়টিকে তুলে ধরে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ শানান তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। উল্লেখ্য, এদিন রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে গড়হাজির ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এক্ষেত্রে তাঁকে অপমান করা হয়েছে বলে রাজ্য সরকারকে দায়ী করেন শুভেন্দুবাবু। সেই বিষয়টি তুলে ধরে জয়প্রকাশ বলেন, “আজ আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকে দেখুন। বিমান বাবুকে দ্বিতীয় সারিতে বসে থাকতে দেখে তিনি নিজে থেকে এগিয়ে এলেন। তাঁকে প্রথম সারিতে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সৌজন্য বিনিময় করলেন আর শুভেন্দু বাবু টুইট করে বলে দিলেন, আসব না।”
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল নেতৃত্বের বাম প্রীতি নিয়ে অতীতেও একাধিকবার প্রশ্ন তোলে বিজেপি। এক্ষেত্রে বিধানসভায় বামেদের কোনো প্রতিনিধি না থাকায় আক্ষেপ করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে আর এদিন বিমানবাবু এবং মমতার সৌজন্যতা ইতিমধ্যে প্রশংসার পাশাপাশি একাধিক প্রশ্ন তুলে দিল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।