বাংলার সঙ্গে বিশেষ যোগাযোগ ছিল শিনজো আবের, শোকবার্তায় উল্লেখ মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলাহান্ট ডেস্ক : শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকদের বহু চেষ্টা সত্ত্বেও আততায়ীদের গুলিতে আক্রান্ত জাপানের (Japan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী (Ex PM) শিনজো আবে প্রয়াত হয়েছেন। আর, জাপানের এই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে কার্যত শোকবিহ্বল হয়ে পড়েছেন বাংলার (West Bengal) মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

শিনজো আবের (Shinzo Abe) মৃত্যুর খবর আসার পরেই কলকাতায় অবস্থিত জাপানি কনসুলেটে শোকবার্তা পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, টুইট করে জানিয়েছেন, ‘জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর নৃশংস হত্যাকাণ্ড আমরাও সমব্যথী।’ একই সঙ্গে ট্যুইটে তার আরোও সংযোজন, ‘তিনি শুধু ভারত ও জাপানের মধ্যেই সম্পর্ককে দৃঢ় করেননি, বাংলার সঙ্গেও তাঁর বিশেষ যোগাযোগ ছিল।’

সূত্রের খবর, শনিবারেই নবান্নের তরফে শোকবার্তার একটি চিঠি পৌঁছে গিয়েছে কলকাতায় অবস্থিত জাপানি দূতাবাসের কনসাল জেনারেলের দফতরে নাকাগোয়া কোইছির কাছে। সেই চিঠিতে শিনজোর আমলে বাংলা ও জাপানের মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় হওয়ার কারণগুলিও তুলে ধরেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

মমতা চিঠিতে জানিয়েছেন ‘শিনজোর আমলেই বহু জাপানি বেসরকারি সংস্থা পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে পা রাখে। জাপানের সঙ্গে বাংলার বাণিজ্যিক যোগাযোগ সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে শিনজো আবের অবদান অনস্বীকার্য বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এ ক্ষেত্রে তিনি জাপানি সংস্থা ‘জাইকা’ ও ‘জিট্রো’র নামও চিঠিতে তুলে ধরেন। মমতার দাবি, ব্যবসায়িক সর্ম্পকের পাশাপাশি, জাপানের সঙ্গে বাংলার সাংস্কৃতিক সংমিশ্রণও ঘটেছিল। শিনজো আবের সময়কালে বাংলার সঙ্গে জাপানের সম্পর্ক নয়া উচ্চতা লাভ করে বলেও শোকবার্তায় উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ পাশাপাশি, আবের পরিবার ও জাপানবাসীর উদ্দেশ্যে সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর