বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শনিবার বাংলার দুটি উপনির্বাচন কেন্দ্রের ফলাফলের দিকে যে সকল রাজ্যবাসীর নজর ছিল, তা বলাবাহুল্য। একদিকে যেমন বিজেপির ‘দুর্গ’ হিসেবে পরিচিত আসানসোলে তৃণমূলের হয়ে বলিউড সুপারস্টার শত্রুঘ্ন সিনহার ডেবিউ ‘ম্যাচ’ ছিল, ঠিক তেমনি ভাবে সম্প্রতি বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ যাওয়া বাবুল সুপ্রিয়কে বালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করে চমক দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস দল। এবং শেষপর্যন্ত দুই উপ নির্বাচন কেন্দ্রে শাসকদলের জয়জয়কারই চোখে পড়লো।
এই জয়ের পর এদিন স্বভাবতই তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী থেকে দলের সকল নেতা-কর্মী ও সদস্যদের উচ্ছ্বাসে ভেঙে পড়তে দেখা যায়। এর মাঝেই এদিন বিকালে দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কালীঘাট মন্দিরে মায়ের পুজো দিতে যেতেও দেখা গেল। এদিন দুপুরে জয়লাভের খবর সামনে আসতেই দেরি না করে মায়ের মন্দিরে গিয়ে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আজ দুপুরে যখন জয়লাভের খবর পাই, তখন হঠাৎই মনে হলো যে মা আমার কথা রেখেছেন। সকালে বাবুল সুপ্রিয়র বালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে যখন ব্যবধান কমার খবর আসছিল, তখন আমি খুব চিন্তায় পড়ে যাই এবং মায়ের কাছে প্রার্থনা করি। এরপরে বাবুলের জয়লাভের অঙ্ক বাড়ার সাথে সাথে মনে হলো, মা আমার কথা রেখেছেন আর তাই দ্রুত মন্দিরে পুজো দিতে চলে এলাম।”
প্রসঙ্গত, বর্তমানে রাজনৈতিক একাধিক বিতর্ক মাঝে দুই উপ নির্বাচন কেন্দ্রে জয় লাভ করা তৃণমূল দলের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। একদিকে যেমন বরাবর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি দলের জয়লাভ করা আসানসোলের চ্যালেঞ্জ ছিল, ঠিক তেমনি ভাবে সুব্রত মুখোপাধ্যায় এর স্থানে মানুষ বালিগঞ্জ কেন্দ্রে নবাগত বাবুল সুপ্রিয়কে কতটা আপন করে নেয়, সেই দিকেও নজর ছিল শাসক দলের। আর অবশেষে দুই কেন্দ্রে বিপুল ভোটে জেতার ফলে এ দিন স্বস্তি দেখা যায় মমতা ব্যানার্জির গলায়।
তিনি বলেন, “মানুষের প্রার্থনা এবং আশীর্বাদ এর জন্যই আজ আমরা জয়লাভ করতে পেরেছি। আমাদের প্রার্থীদের জিতিয়েছেন বাংলার মানুষই। ফলে ভবিষ্যতে আমরা তাদের জন্য আরও সেবা করতে সক্ষম হব।”