আজ শহীদ সমাবেশে কলকাতার ধর্মতলায় সভা করছেন মমতা ব্যানার্জী। দুপুর একটার সময় মঞ্চে উঠে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল ওনার। কিন্তু ১২ঃ৪০ এই উনি মঞ্চে উঠে মাইক হাতে ধরেন। মঞ্চে উঠেই তিনি তৃণমূলের সমস্ত কর্মী, নেতা, সমর্থক, এবং শহীদ পরিবার সমেত সভায় আগত সবাইকে ধন্যবাদ জানান। তিনি মঞ্চে আগে ওঠার কারণ হিসেবে বলেন, ‘আমি রাস্তা দিয়ে আসছিলাম, রেড রোডে দেখি দুই তিন লক্ষ মানুষ ভিড় জমিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। ধর্মতলায় যেমন একটি সভা হচ্ছে, তেমনই ব্রিগেডেও একটি সভা হচ্ছে মনে হচ্ছে।”
মমতা ব্যানার্জী বলেন, ‘আগে ২১ এ জুলাই বাংলায় বৃষ্টি হত। কিন্তু আমরা ২০১১ সাল থেকে শহীদ সমাবেশ করার পর থেকেই আর বৃষ্টি হয়না।” মমতা ব্যানার্জী বিজেপির উপরে অভিযোগ এনে বলেন, আমাদের সভায় প্রচুর লোক এসেছে , আরও মানুষ আসত। কিন্তু বিজেপি চারিদিকে ট্রেন আটকে দিয়েছে। বিজেপি ট্রেনকে নিজদের ট্রেন বলে মনে করছে।”
তিনি আরও বলেন, ‘বিজেপি রাজ্যের চারিদিকে তৃণমূলের কর্মীদের উপরে আক্রমণ করছে বিজেপি। তৃণমূল কর্মীদের সভায় আসতে বাধা দিচ্ছে বিজেপির গুন্ডাদল। গুড়াপে তৃণমূল কর্মীদের বাস থেকে নামিয়ে পেটাচ্ছে বিজেপি। আমরা কিছু বলিনা বলেন, ওরা পার পেয়ে যাচ্ছে। আমরা কিছু করলে ওরা থাকতে পারবে তো?” মমতা ব্যানার্জী কাটমানি ইস্যু নিয়ে বিজেপিকে তুই তোকারিও করেন। বিজেপির নেতাদের উদ্দেশ্যে মমতা ব্যানার্জী বলেন, তোরা কাটমানি ফেরত দিতে বলছিস? আমি বলছি তোদের তোরা ব্ল্যাকমানি ফিরেয়ে দে। তোরা ১৫ লক্ষ টাকা করে ব্ল্যাকমানি ফিরেয়ে দে।
মমতা ব্যানার্জী বলেন, গত লোকসভা ভোটে চিটিংবাজি করে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। তাও তো ওরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। মাত্র তো কটা আসন পেয়েছে ওরা, আমরাই তো বেশি পেয়েছি। ওরা মাত্র ১৮ টা আসন পেয়েছে। আমরা ২৪ টা পেয়েছি। দুবছর আগে ওদের দেখা যেত না। এখন এসে গুণ্ডামি করছে। গুণ্ডার সর্দার ওরা।
প্রাথমিক শিক্ষকদেরও তুলোধনা করতে উনি ছাড়েননি। উনি বলেন, আজকাল কিছু কিছু মানুষ হঠাৎ রাস্তায় প্ল্যাকার্ড হাতে বসে পড়ছে। ওদের দাবি কেন্দ্র সরকারের মতো আমাদের বেতন দিতে হবে। মমতা ব্যানার্জী প্রাথমিক শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা যদি কেন্দ্র সরকারের মতো বেতন চান। তাহলে কেন্দ্রের অধীনে কাজ করুন, রাজ্যের অধীনে না।”