বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চতুর্থ দফার ভোটে উত্তপ্ত বাংলা। কোথাও হামলা, তো কোথাও প্রাণহানী। সবমিলিয়ে ভোটগ্রহণ পর্ব হয়ে উঠেছে রক্তাক্ত। এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান ৪ জন। এমনকি আহত হন আরও ৫। নির্বাচন কমিশনের তরফে স্বীকারও করা হয়েছে বাহিনীর গুলিতেই প্রাণ গিয়েছে তাঁদের। এর জন্য বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন। এবার তা নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মাথাভাঙার (Mathavanga) জোরপাকাটিতে এই গুলি চালানোয় অভিযুক্ত খোদ বাহিনী (Central Force)। ঘটনায় ঘিরে গোটা এলাকা স্তব্ধ, স্তম্ভিত গোটা মাথাভাঙাও। মৃতদের নাম হামিদুল হক, হামিউল হক, নুর আলম,মনিরুল হক। এছাড়াও অন্তত পাঁচজন আহত। মৃতদের পরিবারের দাবি, সম্পূর্ণ পরিকল্পনা মাফিক গুলি চালিয়েছে বাহিনী।
ঘটনাকে ঘিরে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Amit Shah) নির্দেশেই এসব হয়েছে বলে দাবি করে, তিনি এদিন বনগাঁ দক্ষিণের জনসভা থেকে আগামীকাল দুপুর ২টো থেকে বিকাল ৪ টে পর্যন্ত ধিক্কার মিছিলের কথা বলেন। তৃণমূলের (TMC) কর্মী-সমর্থকদের কে তিনি জানালেন, আগামীকাল ব্লকে ব্লকে কালো ব্যাজ পরে প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করতে। এমনকি এই ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দায়ি করে তাঁর পদত্যাগ দাবি তোলেন তিনি। এবং আগামীকাল সকাল ১০টার মধ্যে মমতা নিজে ওই গুলি চালানোর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবেন বলেও জানান।
যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি, ৪০০-৫০০ গ্রামবাসী ঘিরে ধরেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। সেই সময় কয়েকজন বাহিনীর আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তখনই আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তবে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) পূর্বের একাধিক জনসভা থেকে বিজেপি-বাহিনীর আঁতাত বলে দাবি করে আসছেন। তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে গ্রামে গ্রামে গিয়ে ভোটার দের ভয় দেখানো থেকে শুরু করে বিজেপিকে ভোট দিতে বলার অভিযোগ তুলেছেন। এদিন সেই সব প্রসঙ্গ তুলে এনে সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তোপ দেগে তাঁর পদত্যাগের দাবি করেন মমতা। তারপরই তাঁর নিদান ‘ওঁরা (পড়ুন বাহিনী) একদিন আর তৃণমূল ৩৬৫ দিন’।