বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনে ফের একবার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপামর মানুষের আশীর্বাদ তিনি পেয়েছেন, কিন্তু এবার প্রয়োজন প্রতিশ্রুতি পালন। নির্বাচনী প্রচারে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতোই এবারও একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। যার মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রতিশ্রুতি ছিল দুয়ারে রেশন, মহিলাদের হাতে ৫০০ টাকা মাসিক হাত খরচ এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ক্রেডিট কার্ড। যাতে কম খরচে শিক্ষার জন্য লোন পেতে পারে তারা। ইতিমধ্যেই কিছুটা এগিয়েছে দুয়ারে রেশন প্রকল্প। খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ না থাকলেও ইতিমধ্যেই রেশন ডিলার দের সাথে বৈঠক করেছেন খাদ্য প্রতিমন্ত্রী। পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে রাজ্যের মোট ২২ টি জেলায় দুয়ারে রেশন প্রকল্প শুরু করার কথাও হয়েছে।
আজ সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান ইতিমধ্যেই এই প্রকল্প গুলি চালু করতে অনুমতি দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দল ইস্তাহার প্রতিশ্রুতি দেয়। অনেকে সেটা কার্যকর করে না। আমরা প্রতিশ্রুতির কিছুটা পালন করতে আজই মন্ত্রিসভা থেকে সম্মতি আদায় করে নিয়েছি। আমরা পরিবার পিছু সাধারণ শ্রেণির একজনকে ৫০০ টাকা ও এসসি-এসটি হলে ১০০০ টাকা দেব বলেছিলাম। উচ্চশিক্ষায় ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্রেডিটকার্ড দেব। মাত্র ৪ শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন ছাত্রছাত্রীরা। এই দুটির পাশাপাশি দুয়ারে রেশনেও অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।”
শুধু মুখেই প্রকল্প সম্পর্কে ইস্তেহার নয়, প্রকল্প রূপায়নের ব্যাপারে যথেষ্ট তৎপর তৃণমূল কংগ্রেস সরকার, এমনটাই মত মুখ্যমন্ত্রীর। এর আগে দুয়ারে রেশন এবং অন্যান্য প্রকল্পগুলি নিয়ে যথেষ্ট কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছিল বিরোধীরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে আজ তারই কিছুটা জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রকল্প বাস্তবায়নে স্পেশাল টাস্কফোর্স গঠন করা হবে বলেও এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জানান তিনি। তিনি জানান সঠিকভাবে যাতে প্রত্যেকটি প্রকল্প রূপায়ণ তো হয় তার দিকে নজরদারি রাখবে এই টাস্কফোর্স। এখন কবে এই প্রকল্পগুলি বাস্তবে রূপায়িত হয় সেদিকেই তাকিয়ে থাকবে সকালে। তবে অন্তত ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন যে হলো তা বলাই বাহুল্য।.