সংবাদ মাধ্যমকে গণতন্ত্রের সদা-জাগ্রত প্রহরী বলা হয়। যা সমাজকে জাগ্রত করে চেতনাশীল করার কাজ করে। সংবাদ মাধ্যম বরাবর জনগনের চোখ খোলার কাজ করে। এখন রিপাবলিক টিভি একটা বড়ো স্টিং অপারেশন করেছে যেখানে তৃণমূলের পুরানো এবং বড়ো নেতা মদন মিত্র পার্টির সব দুর্নীতি উগরে দিয়েছেন। মদন মিত্র তৃণমূলের দুর্নীতি থেকে শুরু করে মমতা ব্যানার্জীর ‘জয় শ্রী রাম’ শ্লোগানের বিরোধিতা করা সবকিছুর বিষয়ে পর্দাফাঁস করেন। মদন মিত্র রিপাবলিক টিভির এক সাংবাদিকের কাছে তৃণমূলের বিষয়ে সমস্থ কিছুই উগরে যা মদন মিত্র জানেন।
মদন মিত্র বলেন কিভাবে তৃণমূলের মধ্যে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে, কিভাবে নির্বাচনে প্রশাসনকে কাজে লাগানো হয়েছে। শুধু এই নয় ‘জয় শ্রী রাম’ শ্লোগান শুনলে কেন মমতা ব্যানার্জী তেড়ে নিয়ে যেতেন সেটাও বলেন মদন মিত্র। মদন মিত্র স্পষ্ট বলেন যে, হেরে যাওয়ার ভয়ে প্রায় ১৫০ মানুষকে খুন করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশকে সম্পূর্ণভাবে নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগানো হয়েছে বলে জানান মদন মিত্র।
মদন মিত্র বলেন, মমতা হেরে যাওয়ার ভয়ে সব ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এখন পুলিশ প্রশাসন TMC চালাচ্ছে। মদন মিত্র বলেন আমাদের কোথাও ভোট হলে পুলিশ আমাদের ফোন করে জানায়। মদন মিত্র বলেন আমি ভবানীপুরে তিনি রামকথা শুরু করতে চেয়েছিলেন কিন্তু পার্টির বিরোধের কথা তার কানে আসছিল তাই উনি করেননি। মদন মিত্র বলেন, আমি ভগবান রামের ত্যাগ ও উদেশ্য নিয়ে বার্তা দিতে অনুষ্ঠান করতে চেয়েছিলাম। জয় শ্রী রাম বললে মমতা ব্যানার্জী কেন রেগে যান- এর উত্তরও মদন মিত্র দেন।
#RepublicStingsTMC | From corruption to poll-violence, Mamata Banerjee's right-hand-man reveals all.
The Debate with Arnab is now LIVE. Tune in to watch here – https://t.co/rGQJsiKgt2 pic.twitter.com/c8kNmHT3TP
— Republic (@republic) September 30, 2019
মদন মিত্র বলেন, মমতা ব্যানার্জী মনে করছে যে তার বিরুদ্ধে একটা শক্তিশালী শ্লোগান পশ্চিমবঙ্গে উঠে আসছে। তাই মমতা ব্যানার্জী জয় শ্রী রাম শুনলে তেড়ে আসেন। সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেন যে, মমতা ব্যানার্জী কি মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক এর জন্য জয় শ্রী রাম শ্লোগানের বিরোধিতা করেন। উত্তরে মদন মিত্র বলেন, মাইনরিটি ভোট ব্যাঙ্ক নয়, বেসিক পাওয়ার ব্যাঙ্ক হারানোর ভয়ে মমতা ব্যানার্জী এটা করেন। দিদিকে বলো বলে তৃণমূল যে নতুন কর্মসূচি বের করেছে সেটার সমালোচনা করেন মদন মিত্র। উনি বলেন, বাসে ট্রামে, ফ্রেমে, ফোনের কভারে সব জায়গায় এত ছবি কারোর পছন্দ নয়। দিদিকে বলো হিসেবে তৃণমূল যে কর্মসূচি করেছে সেটা তৃণমূলের পাল্টা ক্ষতি করছে বলে মত প্রকাশ করেন মদন মিত্র।